বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে করতোয়া নদী ভাঙনে ৫ হাজার পরিবার হুমকির মুখে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮
  • ২৬২ বার পড়া হয়েছে

 

সোহেল রানা,হিলি,দিনাজপুর প্রতিনিধি:
করতোয়া নদী ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কৃষি ফসলী জমি।
প্রায় ৫ হাজার পরিবার হুমকির মূখে। নদীর গতি পরিবর্তন করতে পারলে পরিত্রাণ পাওয়া
যেতে পারে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান। ভাঙ্গনের কবলে
গ্রামগুলো হলো, উপজেলার বিনোদনগর ইউপির করতোয়া নদী ঘেষা ভোটারপাড়া, কাঁচদহ,
উ. কাঁচদহ, উ. মাঝিপাড়া ও দ. মাঝিপাড়া।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, করতোয়া নদীর প্রবাহ ছিল তাদের গ্রামের প্রায় ১ কিমি পূর্ব দিক
দিয়ে। সেই প্রবাহ ভাঙতে ভাঙতে এখন কয়েক বছরে গ্রাম পর্যন্ত ভাঙা শুরু হয়েছে।
এতে করে অনেকের বাড়ী-ঘরসহ জায়গা জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। আবার নদী
ভাঙনে বাড়ী-ঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে ভোটারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মুনছুর আলী,
ইয়াকুব আলীসহ প্রায় ৫০ জন পরিবারকে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হুমকির মূখে রয়েছে ওই
গ্রামের আজিজুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য গ্রামের প্রায় ৫
হাজার পরিবার। এছাড়াও ভাঙনের কবলে কৃষি জমি, ঘরবাড়ী, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ,
মন্দিরসহ অনেক সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে।
বিনোদনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সানাউল হক জানান, উত্তর থেকে ঘৃনাই ও
যমুনাশ্বরী নদী এসে ভোটারপাড়া এলাকায় করতোয়ায় মিলিত হয়ে পানির তীব্র স্রোতে
এসব ভাঙন হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান- প্রতিবছর নদী যেভাবে
গ্রাস করছে তাতে শুধু ওই গ্রামগুলোই নয়, নদীর গতি পরিবর্তন করতে না পারলে সদ্য
নির্মিত ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতুও ভবিষ্যতে হুমকির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি বলেন,
নদী পূর্বে যেদিক দিয়ে প্রবাহিত ছিল সেদিকে প্রবাহের ব্যবস্থা করা হলে এ থেকে
পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য প্রায় ৫ কিমি নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা
পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদনও করে ছিলেন। সম্প্রতি নবাবগঞ্জ উপজেলা দূর্যোগ
ব্যবস্থাপনা কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ও বিস্তুর আলোচনা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই ২০১৮ ক্ষতিগ্রস্থ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নবাবগঞ্জ
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী, নির্বাহী অফিসার মোঃ মশিউর
রহমান, কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রেফাউল আজম,
প্রকৌশলী মোঃ আঃ কুদ্দুস, বন কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার, বরেন্দ্র উপ-সহকারী
মোকছেদ আলী।
এছাড়াও নদী ভাঙন ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ
সদস্য শিবলী সাদিক। পরিদর্শনকালে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উ-সহকারী
প্রকৌশলী এম.এ রউফ ও আঃ মালেক হাওলাদার জানান- ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে উর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451