অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগ বা বিএনপির বাইরে জাতীয় ঐক্য গড়তে চায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তবে সেই ঐক্যে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না বলেও তিনি জানান।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচনী ঐক্য গড়ার কথা জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা বদরুদোজ্জা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অর্থবহ কার্যকরী জাতীয় ঐক্য চাই। আমি আজকেও বলতে পারছি না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ যুক্তফ্রন্টে আছে নাকি যুক্তফ্রন্টে নেই। যুক্তফ্রন্ট ঘরে আলোচনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটা কোনো প্রেস কনফারেন্স করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। অথবা আমরা যে বৃহৎ সভা করে জাতির সামনে উপস্থিত হই, তাও করা হয়নি। এবং যুক্তফ্রন্টের যে কার্যক্রম এখন পর্যন্ত সেটা প্রস্তাবিত কার্যক্রম।’
এ সময় কাদের সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সংলাপের আয়োজন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি একটা জাতীয় ঐক্যের জন্যে প্রয়াসহীন, শুদ্ধ, নিরপেক্ষ, অবাধ একটা নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্যে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ডেকে আপনি একটা সুস্থ সামাজিক পরিবেশ তৈরি করুন। সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তার লেশমাত্র দেখা যায়নি। কিছু করপোরেশনের নির্বাচনেও তার কোনো রকমের প্রভাব পড়েনি।’
সংবিধানসম্মত নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সেই নির্বাচনে অংশ নিবে বলেও কাদের সিদ্দিকী জানান।
তবে, নির্বাচনের বিষয়ে সংলাপে আয়োজন না করলে তাঁর দল কী করবে, এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান কাদের সিদ্দিকী।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী।
লিখিত বক্তব্যে, সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে দেশের রাজনৈতিক সংকট কাটাতে সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের উপায় নির্ধারণে জাতীয় সংলাপের আয়োজন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার এবং জাতীয় নির্বাচনে কর্তৃত্বসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়।