এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধাপ পদ্ধতিতে
বা ভাসমান বেডে চাষ করা হচ্ছে শাক সবজি ও মসলা। উপজেলার গোপালপুর
ইউনিয়নের বন্যাবাড়ী, মিত্রডাঙ্গা, জোয়ারিয়া, পাথরঘাটা, চাপরাইল,
রুপাহাটিসহ আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা ভাসমান
বেডে চাষাবাদ শুরু করেছে। এতে করে তারা বর্তমানে আর্থিক ভাবে
সাবলম্বি হয়ে উঠছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ৮০
হেক্টর জমির পানির উপরে ঢেড়স, পুইশাক, লালশাক, বরবটি, শশা, করলা, কচু ও
হলুদসহ বিভিন্ন রকমের শাক সবজি ও মসলার চাষ করা হচ্ছে। এবার প্রায়
৩০ হেক্টর জমির পানির উপর ভাসমান বেড তৈরি ও চাষাবাদ করার জন্য
প্রয়োজনীয় বীজ, নেটসহ বেড তৈরির শ্রমিকের মূল্য দেয়া হচ্ছে
কৃষি অফিস থেকে। তাই কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে অত্যান্ত আগ্রহের সাথে
ভাসমান বেডে চাষাবাদ করছে। এছাড়া বেড তৈরির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
প্রয়োজনীয় আধুনিক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষক বরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস,
রবিন দাস, হরেন্দ্রনাথ বসু, জোয়ারিয়া গ্রামের নরোত্তম বালা, অনিমেষ
চন্দ্র সরকার এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার অনেক এলাকায় নিচু
জমি আছে। সে কারনে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ
জন্য স্বাভাবিক চাষাবাদ সম্ভব হয় না। আর এ সময় আমাদের হাতে
কোনো কাজও থাকে না। তাই নতুন এ পদ্ধতিতে আমরা শাক সবজি ও
মসলা চাষে লাভের মুখ দেখতে পারবো বলে আশা করি। এছাড়া উপজেলা
কৃষি অফিস থেকে আমাদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া
হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন বলেন,
উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার বেশ কিছু নিচু এলাকা
গুলোতে ধাপ পদ্ধতি বা ভাসমান বেডে চাষাবাদ ব্যাপক সারা পেয়েছে।
সবজি ও মসলার ফলনও এবার ভালো হয়েছে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে তাদের
সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। আশা করি ভাসমান
বেডে চাষাবাদ করে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবে।