মুন্সি দরুদ,বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত: মতামত : ঘুষ দেওয়া, ঘুষ নেওয়া বা ঘুষ খাওয়া সামাজিক ব্যাধি । ঘুষ লেনদেন না করলে এক শ্রেণীর মানুষদের ঘুম হয় না । অনেকের ঘুষ খাওয়ার ধরন ভিন্ন ভিন্ন । কেউ হাতে হাতে খায়, কেউ টুপিতে খায় । ঘুষকে বাংলায় গতিশীল অর্থ ও ইংরেজিতে ‘স্পিড মানি’ বলা হচ্ছে । মবিল তেল যেমন গাড়ির গতি বাড়ায় তেমনি অনেক ক্ষেত্র ঘুষের টাকা অনেক কাজের গতি বাড়িয়ে দেয় । গতি সৃষ্টিকারী টাকাকেই বলা হয় ‘স্পিড মানি’ । দুর্নীতির চাবিকাঠি হলো ঘুষ । ঘুষ দেওয়া-নেওয়া দুর্নীতি, শাস্তিযোগ্য অপরাধ । ঘুষ সমাজে মারাত্মক ক্ষতি করে । আমাদের সমাজে রাস্তাঘাটের টেন্ডার কাড়াকাড়ি, তোলা আদায় বিষয়ক অশান্তি দেখা দেয় । নেতা ও মন্ত্রীদের জমানত টাকাতে দুর্নীতি বা ঘুষের আঁচ শোনা যায় । ‘স্পিড মানি অবৈধ নয়’ এমন ফতোয়া বাঙালি সমাজকে ক্ষতি করবে । সমাজে যেকোনো কাজ তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নিতে ঘুষ বা স্পিড মানি ব্যবহার হয়ে থাকে । কলেজে ভর্তি, চাকরিতে দুর্নীতির মূলকারণ ঘুষ । সমাজে দিন দিন ঘুষ লেনদেন বাড়ছে । ঘুষের ব্যবহারে মানুষ অসচেতন হচ্ছে । মানুষের মধ্যে হানাহানি বাড়ছে । ঘুষের টাকা ভাগভাগি নিয়ে বাঁধে গোষ্ঠী কোন্দল । ঘুষ লেনদেনকে দুই ভাবে বলা যায় – সহনশীল ঘুষ ও অসহনশীল ঘুষ । দুর্নীতিবাজরা সমাজসেবার নামে ঘুষ গিলে খায় । টাকা নিয়ে যারা সমাজসেবার ঢাক পেটায় সেই সব ঘুষখোর দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হোক । ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ হোক ।