ঢাকাঃ
শিক্ষার্থীদের দেয়া নয়টি দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সরকার তা মেনে নিয়েছে। এমন কোনও দাবি নেই যেটা মানতে সরকার দ্বিমত পোষণ করেছে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনও অপশক্তির উসকানির মুখে বিভ্রান্ত হবে না। প্লিজ তোমরা শান্ত হও। আমরা তোমাদের প্রতিবাদী কণ্ঠকে সম্মান করি।কাদের বলেন, এই আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার নীরব ভূমিকা পালন করেনি। প্রথম থেকেই এই পরিস্থিতে সজাগ ছিলো সরকার। এখনও বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তদারকি করছেন।
তিনি বলেন, তোমারাই বাংলাদেশের আগামী দিনের নাগরিক। তোমরাই আমাদের ভবিষ্যতের নাগরিক। তোমাদের কাছে অনুরোধ করতে চাই, তোমরা শান্ত হও।সেতুমন্ত্রী বলেন, এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত গাড়ির মালিক, চালক এবং হেলপার সবাইকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই এখন জেলে। তাদের মধ্যে একজন রিমান্ডে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার সকল বিষয় কঠোরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। তিনি নিজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশেই এই দুর্ঘটনার সব তদন্ত কাজ চলছে।এদিকে, নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সরকার ১১ টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে সরকারের ১১ পদক্ষেপ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। গেল রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে ঝরে যায় দুই শিক্ষার্থীর প্রাণ। তারা হলেন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মীম ও আব্দুল করিম। এরপর তার সহপাঠীরা আন্দোলনে নামেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন পুরো রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।