কলকাতা ঃ
সোনার গহনা গায়ে চাপিয়ে তীর্থযাত্রায় বের হলেন ভারতের এক তীর্থযাত্রী। সোনার এসব গহনার ওজন ২০ কেজি। দাম হবে আনুমানিক ছয় কোটি টাকা। ওই তীর্থযাত্রীকে সবাই ‘গোল্ডেন বাবা’ নামেই চেনেন। তাঁর আসল নাম সুধীর মক্কর।
তবে ‘গোল্ডেন বাবা’র গায়ে যে শুধুমাত্র সোনার গহনা রয়েছে এমনটা নয়, রয়েছে রুপোর অলংকারও। হাতে রয়েছে ২৭ লক্ষ রুপি মূল্যের রুপোর রোলেক্স ঘড়ি।
তীর্থযাত্রায় ‘গোল্ডেন বাবা’র গাড়ির বহরে রয়েছে বিএমডব্লিউ, ল্যান্ড রোভারের মতো নামিদামী গাড়ি। ‘গোল্ডেন বাবা’ জানিয়েছেন, প্রতিবছর তাঁর এই তীর্থযাত্রার জন্য ব্যয় হয় প্রায় এক কোটি রুপি।
ভারতের হরিদ্বারে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা শিবভক্ত তাঁদের তীর্থযাত্রা বা কানওয়ার যাত্রা। শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় পানি ঢালা ও পূজা দেওয়ার লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে এই তীর্থযাত্রা। এই বছর ২৫তম বর্ষে পড়লো এই তীর্থযাত্রা।
‘গোল্ডেন বাবা’র মুখে রেখেছে লম্বা দাড়ি আর মাথায় রয়েছে বিশাল সাইজের জটা। ‘গোল্ডেন বাবা’ হওয়ার আগে তিনি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
সমালোচকরা বলেন, সুধীর মক্কর নিজের কুকর্ম ঢাকতে ‘গোল্ডেন বাবা’ সেজেছেন। তবে যে যাই বলুক, ‘গোল্ডেন বাবা’ হওয়ার জন্য তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই গায়ে সোনার গহনা চাপিয়ে ঘুরে বেড়াতেন।
গত কয়েক বছর ধরেই তীর্থযাত্রায় সামিল হচ্ছেন ‘গোল্ডেন বাবা’। তবে প্রতি বছরই তাঁর শরীরে সোনার গহনার ওজন বেড়ে চলেছে। ২০১৬ সালে তাঁর শরীরের পড়া গহনার ওজন ছিল ১২ কেজি। ২০১৭ সালে ছিলো সাড়ে ১৪ কেজি। আর এবারে সেই ওজন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কেজি। ‘গোল্ডেন বাবা’র শরীরের সোনার গহনার মধ্যে রয়েছে স্বর্ণের একাধিক চেন, লকেট, বাহুতে আর্মলেট, হাতে বালা, আঙ্গুলে আংটি।
সুধীর মক্কর ওরফে ‘গোল্ডেন বাবা’ জানিয়েছেন, এই তীর্থযাত্রায় আমি হলাম মূল আকর্ষণ। সাধারণ মানুষে আমাকে দেখার জন্যই রাস্তার পাশে এসে ভিড় জমান। পুলিশ প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যায়।