হাসান মাহমুদ,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বাঁধ। আর সেই পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হযেছে রোপা আমন ধানের। তাই নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসীরা সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া ওই বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন।
সরেজমিন শনিবার দুপুরে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের ধুবনী ও মধ্য ধুবনী এলাকা গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের লোকজন স্থানীয়ভাবে বাঁশ সংগ্রহ করে ভাঙা স্থানে খুটি বসাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বালুর বস্তা ফেলছেন সেখানে। এভাবে তারা সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া ওই বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন।
এ সময় মধ্য ধুবনী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল বলেন, প্রতিবছর বর্ষা এলেই তাদের ওই বাঁধের কোন না কোন স্থান ভেঙে যাচ্ছে। এতে করে সিংঙ্গীমারীসহ অন্তত তিনটি ইউনিয়নে পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এবছরও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রোপা আমন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। ফলে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ(পিআইও) জানান, তিস্তা নদীর পানির তোড়ে উপজেলার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের ধুবনী ও মধ্য ধুবনী গ্রামে চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা ভেঙে যাওয়া বাঁধ নিমার্ণে বাঁশ ও বালুর বস্তা ফেলে তা রক্ষার চেষ্ঠা করছেন। এজন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে গ্রামবাসীদের বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রোপা আমন ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষতি নিরুপনে কাজ চলছে। রবিবার ক্ষতির পরিমান বলা যাবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, ধুবনী এলাকায় বারবার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্থানীয়রা সেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ করছে।