টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক মোটরসাইকেলের নাড়ী আরেহীকে সেচড়িয়ে
নেয়ার সময় প্রউিভেটকারের গতিরোধ করে চালক আল-আমীন মাহমুদকে
(২৯) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে পথচারীরা। আটক আল-আমীন
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আক্কেলপুর (মাদ্রাসাপাড়া) গ্রামের মৃত
গোলাম মোস্তফার ছেলে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার
রাত পৌনে ৮টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌরসভার
আসপাডা (পলক সিএনজির সামনে) এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন শ্রীপুুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের সুমন মিয়া
(২২), শ্যামল মিয়ার স্ত্রী মিষ্টি বেগম (২১), মামুন মিয়ার স্ত্রী
তানজিনা বেগম (২৩)। আহতদরেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত মিষ্টি বেগমের অবস্থা
আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে তার দেবর আহত সুমন মিয়া।
আটক ড্রাইভার আল-আমীন মাহমুদ জানান, দু’বছর আগে হায়দার
মটরস থেকে তিনি প্রাইভেটকারটি ক্রয় করেন এবং নিজেই গাড়িটি
পরিচালনা করতেন। পরে মোবাইল নেটওয়ার্ক রবি-ই ডটকম এর কাছে
ভাড়া দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা
বাজার এলাকায় রবি কোম্পানীর টাওয়ারে সমস্যা সমাধান করে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর ফিরছিলেন। গাড়ীতে ওই কোম্পানীর
দুজন প্রকৌশলী শামীম মিয়া ও হান্নান মিয়া ছিল। পরে পরিস্থিতি
ঘোলাটে হওয়ায় তারা কৌশলে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারীদের বরাত দিয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসের জানান, ওই সিএিনজির সামনে
মহাসড়কে রোড ডিভাইডারের কাটা দিয়ে একটি মোটর সাইকেল ইউ
টার্ন নেওয়ার সময় দ্রুতগামী হায়েস মাইক্রোবাস চাপা দিয়ে চলে
যায়। এসময় মোটরসাইকেলটি সড়কে পড়ে যায়। পেছনে থাকা
দ্রুতগামী প্রাইভেটকার (নং ঢাকা মেট্রো গ ২৯-৭০২৭) সড়কে পড়ে
যাওয়া মোটরসাইকেলের নাড়ী আরোহীকে প্রাইভেটকারের সাথে
সেচড়িয়ে নিয়ে যেতে থাকে। এসময় পথচারীরা প্রাইভেটকারটিকে
সিগন্যাল দিলে চালক সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে যেতে থাকে।
পরে মহাসড়কের ভিনটেজ ডেনিম কারখানার সামনে একটি লেগুণা
প্রাইভেটকারের সামনে গিয়ে গতিরোধ করে। এসময় উত্তেজিত
পথচারীরা প্রাইভেটকারে আগুণ ধরিয়ে দেয় এবং চালক আল-আমীন
মাহমুদকে (২৯) করে আটক করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
প্রাইভেটকারটি মাওনা হাইওয়ে থানায় রয়েছে।
মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান,
খবর পেয়ে মহাসড়কের আসপাডা (পলক সিএনজির সামনে) ফায়ার
সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুণ নেভায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত
হয়নি। মহাসড়ক থেকে অগ্নিদগ্ধ প্রাইভেটকার সরানোর পর যান চলাচল
স্বাভাবিক হয়।