মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বেসরকারী টিভি চ্যানেল আনন্দ টিভি পাবনা প্রতিনিধি সুবর্না নদীকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায়,সুবর্না নদীর হত্যাকারীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আলহাজ মনসুর আলী সরকার।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদিকগণ। তারা বলেন সারাদেশে সাংবাদিকরা এমনিভাবে প্রতিহিংসার স্বীকার হলে এবং সুষ্ঠবিচার না পেলে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আনন্দ টিভি দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি ও ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নজমুল হক নাজিম,উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি প্রভাষক আবু শহীদ দৈনিক করতোয়া ও নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি উপজেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য,শেখ সাবীর আলী, যায়যায়দিন প্রতিনিধি রজব আলী,কলকাতাটিভি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান উজ্জল, বিজয় টিভি প্রতিনিধি কমল চন্দ্র রায়, চ্যানেল এস প্রতিনিধি নাজমুল হাসান রতন, সিএনএন প্রতিনিধি আল-হেলাল চৌধরীসহ অন্যান্য সকল সাংবাদিক সংগঠনের সাংবাদিকবৃন্দ।
উলেখ্য যে, সত্যের পথে অবিচল ছিলেন বলেই আজ এই নির্মম হত্যা কান্ড হয়েছে। আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদী (৩২) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে পাবনা শহরের রাধানগরে নিজবাসার সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তারা সুবর্ণাকে হাতে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুবর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুবর্ণা নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক।