রামগঞ্জ প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউপি অর্থবিষয়ক সম্পাদক মহসিন হত্যার আলামত গায়েবের অভিযোগ করেন তার স্ত্রী শিরিন বেগম।
শনিবার দুপুরে নিহত মহসিনের স্ত্রী শিরিন বেগম, বৃদ্ধা মা সামছুনাহার জানান দুর্বৃত্তরা শক্রতার জেরধরে রাতের খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মহসিনকে হত্যা করে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পায়তারা পুলিশ প্রশাসনসহ সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তারগণ প্রতিপক্ষের প্ররোচনা মহসিন হত্যার আলামত গায়েবের করেন। তারা জানান সম্প্রতি গত ২৭শে মার্চ বুধবার রাতে রাতের খাবারের সাথে পটাশ (বিষ) মিশিয়ে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে মহসিনের পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা উদ্দেস্য দুধের সাথে পটাশ (বিষ) মিশ্রিত করে। রাতের খাবার শেষে মহসিন দুধ প্রান করলে বমি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মহসিন অচেতন হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাকে রামগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্য্র ভর্তি করেন। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর চিকিৎসারত অবস্থায় মহসিন নিহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র কর্মরত ডাক্তারগণ মহসিনকে খাদ্যদ্রব্য দুধের সাথে মিশ্রিত বিষপ্রাণে নিহত সনদপত্র দিলেও সির্ভিল সার্জন অফিস কর্ত্তৃক মহসিন হৃদরোগে নিহত হয়েছে মর্মে জানান। মহসিনের ভগ্নিপতি ছলেমান জানান মহসিন হত্যার আলামত গায়েব করেন পুলিশ প্রশাসনসহ সির্ভিল সার্জনের ডাক্তারগণ। বিষমিশ্রিত দুধের আলামত গায়েবের অভিযোগ করেন মহসিনের স্বজনেরা। মহসিন নিহতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক উপস্থিত প্রায় শতাধিক লোকজন দুধে মিশ্রিত বিষের দুগন্ধে বমি করতে থাকে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ টালবাহনা করে মামলা না নেওয়ায় নোয়াগাঁও ইউপি আ.লীগ,গ্রামবাসিসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজনসহ বক্তরা জানান নিহত মহসিনের বাড়ির কুতুবউদ্দিন,মাইনউদ্দিন গং সাথে সম্পত্তি বিরোধ নিয়ে থানাও আদালতে ৫টি মামলা রয়েছে। মামলা জেরধরে গত তিন বছর আগে মহসিনের বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।
নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী মোহাম্মদ হোসেন রানা জানান মহসিন হত্যার বিচার দাবীতে উপজেলাব্যাপী উত্তাল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পিন্টও ইলেকট্রনিক্য্র মিডিয়া সংবাদ ফলও হয়। তিনি জানান নিহত মহসিনের পুন: ময়না তদন্ত দাবী করেন।
উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু জানান নিহতের পুন:তদন্ত রিপোর্টের আলোকে মামলা চলমান।
মামলা তদন্তকারী অফিসার এসআই মমিন জানান পুন: ময়না তদন্তে পুলিশের কোন আপত্তি নেই।
জেলা সির্ভিল সার্জন অফিসের ফরেনসি বিভাগের ডাক্তারের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করলেও আলাপ করতে পারেনি।