টি.আই সানি,গাজীপুরঃ
নেশার টাকা না পেয়ে মা মনোয়ারা বেগম (৬০) কে পিটিয়ে জখম করেছে ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২১)। গুরুতর অবস্থা হওয়ায় মনোয়ারা বেগমকে জৈনা বাজার স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করেছেন, মনোয়ারা বেগমের ডান হতে কোবজির পার্শ্বে উপরে আঘাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে সেলাই দেওয়া হয়েছে।
(১২নভেম্বর) বুধবার সন্ধায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ডুমবাড়ি চালা এঘটনা ঘটেছে। মনোয়ারা বেগম জানান, বুধবার দুপুরে নেশার জন্য সাদ্দাম টাকা দাবী করে। টাকা না দেওয়ায় সাদ্দাম হোসেন মায়ের ডান হাতে গাছের কাঁঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে,সেই আঘাত ফিরাতে গিয়ে ডান হাতের কোবজি ভেঙ্গে রক্তাত্ব হয়। এ সময় মনোয়ারার মেয়ে খাদিজা আক্তার (১৭) আহত হয়েছে। প্রতিবেশীরা এসে সাদ্দাম কে বাঁধা দিলে সুলতান মিয়ার ছেলে সাজাহান মিয়া (৩৩) আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ মনোয়ারা বেগম তার ছেলে মেয়েসহ শহিদুল্লাহর ছেলে দেলোয়ার হোসেনের জমি দেখা শোনার জন্য কেয়ারটেকার হিসাবে বসবাস করে আসছেন। তাদের মা ছেলের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। ছেলে সাদ্দাম নেশা করে এবং বিক্রি করে এসব নিয়েই মা ছেলের ঝগড়া হয় প্রায় সময়।
সাদ্দাম হোসেন বলেন,অনেক আগে আমি নেশা করতাম। কিন্তু এখন কোনো নেশা করিনা,মা টাকার জন্য নেশা বিক্রেতার সাথে দিয়ে ছিল অনেক আগে।মাকে আমি টাকা না দিতে পারায় আমার সাথে ইচ্ছা করে ঝগড়া করেন। সময় মতো খেতে দেয়না মা। বুধবারে আমার বোন খাদিজার সাথে দুপুরের খাবার নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। মা আমাকে দেখতে পারেনা। মাকে মারিনি আমি। খাদিজা আমাকে মারতে গেলে মায়ের হাতে আঘাত লাগে।
তেলিহাটি ১নং ইউপিঃসদস্য তারেক হাসান (বাচ্চু) জানান,মনোয়ারা বেগমের ছেলে সাদ্দাম দীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক সেবন করেন এবং মাদক ব্যবসার সাথে জরিত রয়েছে। কিছু দিন আগে সাদ্দামের এক সহযোগিকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগেও তার মাকে মারধর করেছে সাদ্দাম।
জৈনাবাজার এক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন,মনোয়ারাকে আমার জমি দেখা শোনার জন্য কেয়ারটেকার হিসাবে জায়গা দিয়েছি। এখানে থেকে মনোয়ারা ও তার মেয়ে খাদিজা স্থানীয় আকবর কর্টন কারখানায় চাকরী করে। মনোয়ারার ছেলে সাদ্দাম আমার গরু মহিষ জমি দেখা শোনা করে। কিন্তু সাদ্দাম নেশার সাথে জরিত কিনা তা আমার জানা নেই। তবে এর আগেও মা ছেলের মধ্যে ঝগড়া মারামারি হয়েছে। এবার মারামারির বিষয়ে আমাকে জানিয়েছে আমি এবিষয়টি মিমাংসা করে দিব।