মোঃ অালী হাসান: পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন কালে তথ্য গোপন রেখে বাংলাদেশ পুলিশের ৬০ তম ব্যাচে যোগদান করে চাকুরী করছে ২ ব্যক্তি । প্রশ্ন উঠেছে তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত নিয়েও। এলাকা ঘুরে ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে উপজেলার ধরঞ্জি ইউনিয়নের উচনা গ্রামের আব্দুর রউফ এর তালাক প্রাপ্ত কন্যা আলমেরাতুল ফাতেমা (রাকা) তার বিয়ে ও তালাকের তথ্য গোপন রেখে পুলিশের ৬০ তম ব্যাচে যোগদান করে বর্তমানে সে এ পি বি এন এ (ঢাকায়) কর্মরত বলে জানা গেছে। রাকার গত ১৯ সেপ্টেমবর ২০১৪ সালে জয়পুরহাট সদর থানার বড় তাজপুর গ্রামের আলী আকবরের পুত্র শহিদের সাথে বিবাহ হয়। এর ২ মাস পর সে তালাক প্রাপ্ত হয়।
এছাড়াও টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার মোঃ আলম পাঁচবিবি উপজেলার দমদমা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কাঠ ব্যবসা করে। পাঁচবিবিতে তার কোন নিজস্ব স্থায়ী ঠিকানা নাই। তার ছেলে মনিরুল ইসলাম ও একই ব্যাচে যোগদান করে বর্তমানে পাবনা পুলিশ লাইনে কর্মরত। জানা গেছে মনিরুল পুলিশে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনে জটিলতা হলে এবং তদন্ত্য কর্মকর্তা স্থায়ী ঠিকানা না থাকার কারনে তদন্ত রিপোর্ট দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে তড়িঘড়ি করে দমদমা গ্রামের আয়ুব আলীর স্ত্রী মরিয়মের নিকট থেকে ২.৫০ শতক জমি খরিদ করে। যে খানে এখনো কোন নির্মান কাজ করা হয়নি। উল্লেখ্য উপরোক্ত ২ জনের বিষয়ে তদন্ত করেন পাঁচবিবি থানার তৎকালীন কর্মকর্তার মধ্যে একজন এসআই বর্তমানে ক্ষেতলাল থানায় কর্মরত আছেন। প্রশ্ন উঠেছে ২ পুলিশ কর্মকর্তা সঠিক তদন্ত করেছেন কিনা। এ বিষয়ে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার রশিদুল আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান পুলিশ বাহিনিতে নিয়োগ কালীন সময়ে শুধু মাত্র অবিবাহিতরাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বিবাহিতা বা তালাক প্রাপ্ত ব্যাক্তি পুলিশের চাকুরীতে নিয়োগ পাওয়ার কোন বিধান নেই। অন্য দিকে কেউ যদি নিজ এলাকায় নদী ভাঙ্গন বা ভূমি হীন অবস্থায় পড়ে অন্য স্থানে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য থাকে সে ক্ষেত্রে তার ব্যাপারে এ আইন শিথিল যোগ্য।