টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামের পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ২৪আগস্ট একই গ্রামের হারুন-অর-রশিদ ও হাবিজ উদ্দিনের নামে থানা অভিযোগ দেন মৃত রহমত আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম।
অভিযোগটি তদন্ত করতে ২৭আগষ্ট দিবাগত রাতে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক অভিযুক্ত হারুনের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করার চেষ্টা করে। এসময় এসআই নাজমুল ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ হারুণকে আটক করতে ধাওয়া করলে গভীর রাতে অন্ধকারে পড়ে গিয়ে তার বাম পা ভেঙ্গে যায়। পরে পুলিশ চলে গেলে ২৮আগষ্ট সকালে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত হারুন জানান, দীর্ঘ ১৩দিন চিকিৎসাধীণ থাকার পর ৮ সেপ্টেম্বর বাড়ীতে ফিরে আসি। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় এসআই নাজমুল কোন প্রকার যোগাযোগ করে নাই। আমি ঘটনার বিচার চেয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর আবেদনের খবরে, এসআই নাজমুল হক (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আমার বাড়ীতে আসেন।
আসার পর তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হবে না বলে জানান। বরং, মারধরের ঘটনার অভিযোগের বাদী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পা ভাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত করে থানার অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন এবং আরিফুলকে জড়িয়ে অভিযোগ দিলে চিকিৎসা ও মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। পরদিন (৯ সেপ্টেম্বর) তার কথামতো থানায় আরিফুলকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের চারদিন পার হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আরিফুল জানান, আমার মাকে মারধর ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিই। পুলিশ তদন্তে এসে অভিযুক্ত হারুণকে ধাওয়া করলে তার পা ভেঙ্গে যায়। উল্টো এসআই নাজমুল ইসলামের সহযোগিতায় হারুন আমার বিরুদ্ধে পা ভাঙ্গার অভিযোগ দেন।
এব্যাপারে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক বলেন, অভিযোগটির তদন্ত করতে তার বাড়ীতে গেলে সে দৌড়ে চলে যায়। তারপর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে ধাওয়া দিয়ে পা ভাঙ্গার বিষয়টি অস্বীকার করেন।