বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে পাঁচ মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম (৩৪) নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কাটাশকোল ই্ক্ষু সেন্টারের কাছে ওই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার তৈরী বিদেশী পিস্তল, এক রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, পিস্তলের গুলির এক টি খালি খোসা, এক টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৫৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ৩২০৫ টাকা, একটি চার্জার টর্চ লাইট, ছয়টি পুরাতন স্যান্ডেল, একটি মোবাইল ফোন, দুইটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। নিহত সিরাজুল ইসলাম জোয়াড়ী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কম্পানি কমান্ডার আজমল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে র্যাব-৫ এর একটি টহল দল উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় গোপন সংবাদ মাধ্যম জানতে পারে উপজেলার কাটাশকোল ইক্ষু সেন্টারের কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। খবর পেয়ে র্যাবের টহল দল কাটাশকোল’ ইক্ষু সেন্টারের কাছে পৌঁছালে কিছু লোকের আনাগোনা দেখতে পায়। তারা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩-৪ জন ব্যক্তি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে র্যাবের টহল দল নিজেদের পরিচয় দিয়ে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়। এ সময় তারা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে পালাবার চেষ্টা করে। তখন টহল দল সরকারী সম্পদ ও নিজেদের জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে আনুমানিক ৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং দলের অপর সদস্যরা পালিয়ে যায়। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় র্যাবের আহত ০২ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, নিহত সিরাজুল ইসলাম উপজেলার বালিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। সে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।**