নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর,
চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ১৮
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিঘœ ঘটছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, এসব ইউনিয়নের উজান বুড়াইল সরকারি
বিদ্যালয়, ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটিবুড়াইল সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর কাপাসিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাগলার হাট সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাঠশালার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোচাগাড়ি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর বিএসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঘব সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাড়াসাদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারীপাড়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজান তেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব
লালচামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোচাগাড়ি ভুইঞাপাড়া সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয় ও মহিষবান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম
হারুন অর রশিদ জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর কুলবর্তী ও চরাঞ্চলের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলো পানিবৃন্দী হয়ে পড়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিঘœ
ঘটছে। এছাড়া বুড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনের ফলে অন্যত্রে
সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর
কার্যালয় সুত্র জানায়, বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ১ দশমিক ৪২
সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, তারাপুর ইউনিয়নের লাঠশালার
চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয় বন্যার অজুহাতে কার্যক্রম বন্ধ
রাখার অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় এলাকার সচেতন অভিভাবকরা।