নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ২১ লাখ টাকার মালামাল চুরির
ঘটনার দায় এঁড়াতে অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন- অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নুরী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি একটি প্রকল্পের অধীনে সরবরাহকৃত ২১ লাখ টাকার
ল্যাপটব, প্রজেক্টর ও মনিটরের মধ্যে ৮টা ল্যাপটপ, ৮টা প্রজেক্টর ও মনিটর কখন রহস্যজনকভাবে হাওয়া
হয়ে গেছে। তা কেউই জানেন না। রবিবার সরবরাহকারী প্রকল্পের অধীনে টেকশিয়ান সেগুলোকে
সংযোজন করতে এসে দেখেন সরবরাহকৃত ল্যাপটব, প্রজেক্টর ও মনিটরগুলোসহ বেশ কিছু
মালামাল হাওয়া হয়ে গেছে। কলেজের ৪ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে ৪ তলা পর্যন্ত সমস্ত তালাবদ্ধ
রেখে নিজ দায়িত্বে চাবী বহন করেন অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নুরী। এছাড়া, কলেজের কম্পিউটার
শিক্ষক- হাসান কবীর মুকুল অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নুরীর আপন শ্যালক আর নৈশ্য প্রহরী- রবিজল
হক তাঁর একান্তই ঘনিষ্টজন হওয়ায় বিষয়টি রহস্যজনকভাবে ধামাচাপা দেয়ার পায়তারা চালান-
অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নুরী। কিন্তু, তা না পেয়ে অবশেষে থানায় অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে তাকে
অভিযোগ করতে হয়েছে। কলজ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, সবগুলো দরজা-
জানালা ও তালাবদ্ধতার ব্যাপারে অক্ষত অবস্থায় থাকার পরও বহুতল ভবনের ভিতর থেকে মালামাল হারিয়ে
যাওয়াটা হাস্যকর ও রহস্যজনক। তাঁরা জানান, অধ্যক্ষের নিজ দায়িত্বে থাকা সব কিছুই ঠিক
থাকলে ভবনের ভিতরের সম্পদ খোঁয়া যায় কী ভাবে! এটা হতে পারে না। স্থানীয়রা আরো জানান,
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকই কলেজটিকে পুঁজি করে অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নুরী বে-পরোয়াভাবে
ব্যাপক লুটপাট, ভূমিদস্যুতা, নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে কয়েকটি বিলাশবহুল, বাড়ি, বিষয়
সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ব্যাংক-বীমায় নামে-বেনামে সম্পদের স্তুপ গড়িয়ে এখন যেন রাতারাতি
আঙ্ধসঢ়;গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। থানা অফিসার ইনচার্জ- এসএম আব্দুস সোবহান
জানান, গত রবিবার রাতে অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নুরী অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি
অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি- এসএম গোলাম
কিবরিয়া বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব বিষয়টি অবগত করলে তাকে থানায় জিডি করার পরামর্শ
দিয়েছি।