হেলাল শেখ,ঢাকাঃ
লক্ষ মানুষের প্রিয় ব্যক্তি-পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমান এই দুটির মাঝে নেই যেন কোনো পার্থক্য বিদ্যমান। পুলিশের এই স্বনামধন্য কর্মকর্তার হাত ধরে পুলিশ সম্মানের সাথে এগিয়ে গেছে অনেক দূর।
বিশেষ করে আধুনিক ও জনবান্ধব এই পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান পুলিশ বাহিনীর সকল সুবিধা ,অসুবিধা সব কিছুতেই তীক্ষ্ণ নজর রাখেন যিনি, তিনি নিজ বাহিনীর কল্যাণে এই জনপ্রিয় পুলিশ অফিসারের উদ্যোগে একের পর এক পুলিশের নানা সমস্যার নিরসন হয়েছে।
দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় শান্তির শপথে বলীয়ান যে পুলিশ সদস্যরা দিনরাত দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে শহীদ হচ্ছেন , মৃত্যু বরণ করছেন, তাঁদের লাশ প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে ছিলোনা তেমন কোন পরিবহন সুবিধা-ডিআইজি হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে অবসান ঘটলো সেই সমস্যারও।
কিছুদিন আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (IGP) ডঃ মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও ডিআইজি হাবিবুর রহমানের কাছে কনকর্ড গ্রূপের চেয়ারম্যান পুলিশকে এই লাশবাহী গাড়িটি হস্তান্তর করেছেন এ সময় পুলিশের আরো বিভিন্ন শাখার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষেপে জেনে নিন হাবিবুর রহমানের কিছু পুলিশ কল্যাণ মুখী কর্মকান্ডঃ
১, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হাবিবুর রহমানের একান্ত উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদানকে স্মরণীয় ও চিরস্থায়ী করে রাখতে রাজারবাগে নির্মাণ করা হয় পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি।
২, শিক্ষানুরাগী এই অফিসার ডিসি হেডকোয়াটার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি পুলিশের জন্য একটি আধুনিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন।
৩, পুলিশ ব্লাড ব্যাঙ্ক এর জনকও তিনি ।
৪, পুলিশের পেনশন সংক্রান্ত সম্যসা নিরসনে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে । ৫, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস 999 এর উদ্ভোধন করেন তিনি।
৬, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় মাইকিং করে বিনা টাকায় পুলিশের চাকরির ব্যবস্থা করেন, মাদক ও জুয়া খেলা বন্ধ করেন।
৭, ফোর্সদের আবাসন সমস্যা সমাধান সহ নানা ধরণের সুযোগ এর ব্যবস্থা হয় হাবিবুর রহমানের হাত ধরেই। ৮, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ ও পিতা তুমি এই বই দুটি সম্পাদনাও তিনি করেছেন যেটিপুলিশের অবদান ও ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জ্বল করেছে। ৯, কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য বিপিএম , পিপিএম লাভ করেন। ১০, মহত্মা গান্ধী পুরস্কার গ্রহণ। ১১, পুলিশে পোস্টিং জটিলতা সহ ঘুষ বাণিজ্য বন্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
১৩,পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাঅক্ষরে লেখা থাকবে– স্বরাষ্ট মন্ত্রী। এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশ গঠনের মাধ্যমে পুলিশের সেবাকে জনগণের দাঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সহ খুঁটি নাটি অনেক বিষয়েই হাবিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে।
উক্ত বিষয় ও ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইসহ বিভিন্ন এলাকার বেদে ও হিজরাদেরসহ হাজার হাজার জনসাধারণের সেবামূলক কাজ করছেন। সাংবাদিক/সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ, হাবিব সাহেবকে মনে প্রাণে সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন। তিনি বলেন, আমি আমার জীবনে পুলিশের অনেক অফিসার দেখেছি, কিন্তু জনাব হাবিব সাহেব এর মতো ভালো মানুষ আর একজনও দেখিনি। সাবেক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, এখন ডিআইজি হিসেবে তিনি বেশিরভাগ মানুষের প্রিয় মানুষ, বেদে পল্লীর নারীদের অনেকের কাছে তিনি দেবতা, কারো কাছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ হাবিব নামটি। লিখে শেষ করা যাবে না তাঁর সততা ও সেবামূলক কাজের হিসাব নেই।