তালা প্রতিনিধি ॥ তক্ষীরা তালার কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দে’র বিরুদ্ধে দৈনিক জাতীয়,আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইনন্তে প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অমূলক আখ্যায়িত করেছেন। প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দে শনিবার বিকালে তালা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে ওই সংবাদের প্রতিবাদে জানিয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অত্র স্কুলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুর রশিদ।
সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইনসহ খুলনা ও যশোর থেকে প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকা এবং সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সাতনদী ’ পত্রিকায়’ “তালার কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়। তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, উপরোক্ত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া। প্রকৃত ঘটনা হলো, অত্র স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় পদটি সভার মাধ্যমে শুণ্য ঘোষণা করা হয়। উক্ত শুন্যপদে নিয়োগের জন্য একটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৫টি দরখাস্ত জমা হয়। উক্ত দরখাস্ত সমুহ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি সভা আহবান করে সভাপতির কাছে অর্পন করা হয়। যাচাই-এর সময় দেখা যায় যে, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেনের অভিজ্ঞতা সর্বশেষ সরকারী বিধি মোতাবেক অর্থাৎ ১২/০৬/২০১৮ তারিখের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১০(দশ) বছর পূর্ণ হয়নি। অভিভাবক সদস্য বদিউর রহমান প্রস্তাব করেন যে, ১০ বছরের ১মাস বাকী থাকলেও তার দরখাস্ত বাতিল বলে গণ্য হবে। কমিটির অন্য একজন সদস্য জনাব জি.এম. হাফিজুর রহমান উক্ত প্রস্তাবটি সমর্থন করলে উক্ত সভায় সর্ব সম্মতভাবে উক্ত দরখাস্তটি বাতিল বলে গণ্য হয়। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকে শুরু। উক্ত শিক্ষকের অবৈধ দরখাস্ত বৈধ করার জন্য আমাকে ও সভাপতি মহোদয়কে একটি মহল প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে কোন প্রকারে রাজী করাতে না পারায় গত ইং ১৯/০৮/২০১৮ তারিখ সকাল ১১ ঘটিকার সময় দলবল নিয়ে জোরপূর্বক আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তার নিজের তৈরী করা একটি অভিজ্ঞতা সনদে ভীতি প্রদর্শন পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
এদিকে বিধি মোতাবেক জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট ডি,জি, প্রতিনিধি চেয়ে আবেদন করলে তিনি তালা বি,দে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌরপদ নন্দীকে মনোনয়ন দান করেন। ডি,জি প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাক্ষাৎকারের জন্য একটি দিন ধার্য্য করেছিলেন কিন্তু রাষ্ট্রীয় জরুরী কাজে বাহিরে অবস্থান করার কারণে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। অথচ তাঁকে জড়িয়ে একলক্ষ বিশ হাজার টাকার যে কথাটি ছাপানো হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য এ ধরণের হীন ও অপকৌশলের প্রয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, স্কুলের সভাপতি একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁর উপস্থিতিতে সকল প্রকার অফিসে সুষ্ঠু পরিবেশে কাজ সম্পন্ন হয়। আর্থিক লেনদেনের কোন প্রশ্নই উঠে না। পত্রিকায় এ,ডি,পি এর এক লক্ষ টাকা আত্মসাথের বিষয়টিও সঠিক নয়। উক্ত কাজটি ঠিকাদারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া সাদা পাতায় স্বাক্ষর করে নেওয়া ও সহি জাল করার অভিযোগটিও ভিত্তিহীন। তিনি মানহানিকর উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।