জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ অডিটের নামে ঘুষ গ্রহন করা ও চাহিদা মত টাকা না পেলে সমিতি বাতিল করে দেওয়ার সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঐ কর্মকর্তার সেস্বচ্ছাচারিতা, ঘুষ গ্রহন ও হয়রানির বিচার দাবী করে গত রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা মৎসজীবি সমবায় সমিতি। উপজেলা মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ইব্রাহীম ও সাধারণ সম্পাদক ধনেশ্বর চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালে পীরগঞ্জ উপজেলায় সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে সহিদুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে তাদের বিভিন্ন সমিতি অডিটের নামে সমিতির লোকজনদের নানা ভাবে হয়রানি ও নাজেহাল করে আসছেন। অডিটের জন্য খাতা বাবদ ২ হাজার এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন তিনি। ঘুষ না দেওয়ায় ঐ কর্মকর্তা জেলা কর্মকর্তার মাধ্যমে অনেক প্রকৃত সমিতিকে বাতিলের চিঠি দেন। এতে বাধ্য হয়েই অনেকে সমিতি টিকিয়ে রাখার জন্য তার চাহিদা মত ঘুষের টাকা প্রদান করেন। যারা দেননি তাদের সমিতিগুলি নানা অজুহাতে বাতিল করার পায়তারা করছেন। এর প্রতিবাদ করলে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদান করছেন ঐ কর্মকর্তা। অথচ দীর্ঘদিন ধরে তারা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সমিতি পরিচালনা করে আসছেন। এদিকে ঘুষ না পেয়ে অনেক প্রকৃত মৎসজীবি সমিতিকে বাতিল ঘোষনা করলেও ঘুষ নিয়ে ঐ কর্মকর্তা অনেক সুদ সমিতি ও ভুয়া সমিতি সচল রেখেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। উপজেলা মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ইব্রহীম জানান, ঐ কর্মকর্তার কাছে সমিতির খাতা পত্রের কোন দাম নাই। টাকা দিলেই সব পার হয়ে যায়। সমিতির খাতা পত্র যাই থাক না কেন – খরচ পত্র না দিলে কিছুই হয় না। সমিতি বাতিল করার হুমকি দেন। ঐ কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে এর আগে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু কোন কাজ হয়নি এতে উপজেলার মৎসজীবি সমবায় সমিতি গুলি এখন চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমবায় কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বলেন, অনিয়ম করে অনেকসমিতি চলছিল। এখন নিয়মের মধ্যে আনায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলা হয়েছে।