বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি :
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর বাঁশের মুগুর ও কাঠের বাটামের আঘাতে মজনু শেখ (২৮) নামে এক কাঠমিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মজনু মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো বলে জানা গেছে। রোববার দিনগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এরআগে রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামের একটি মুদির দোকানের সামনে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কোরবান আলী নামে এক প্রতিবেশীর বেদম মারপিটে আহত হন মজনু। সোমবার সকাল ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহত মজনুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত মজনু শেখ ওই গ্রামের নুর আলী শেখের ছেলে। আর অভিযুক্ত কোরবান আলী প্রামানিক একই গ্রামের আছের উদ্দিনের ছেলে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মজনু পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তিনি মানষিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। রোববার রাত ৮টার দিকে গড়মাটি মাঝিপাড়া তিন রাস্তার মোড়ে কুতুব আলীর দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে মজনু স্থানীয় আজগর আলী নামে এক ব্যাক্তি কাছে সিগারেট চান। এসময় উপস্থিত প্রতিবেশী কোরবান প্রামাণিক বিড়ি চাওয়ার কারণে মজনুকে গাল-মন্দ করতে থাকে। মজনুও গালাগালি শুরু করলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে কোরবান কাঠের বাটাম ও বাঁশের মুগুর দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরী আঘাত করেন। এসময় মজনু প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পাশের ডোবায় পড়ে যান। পরে উপস্থিত অন্যান্যরা মজনুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় মিঠুর ভ্যানযোগে বাড়ি নিয়ে পৌছে দেন। এসময় তার নাক-কান রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার সাথে কারো কোন শত্রুতাও ছিলনা বলে পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানানিয়েছেন। এ ঘটনার পর ঘাতক কোরবান পলাতক রয়েছেন।
ওসি আরো বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অভিযুক্ত কোরবান আলীকে গ্রেফতার করতে সর্বাতœক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।