জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় ২ মাস ধরে জ্বরের প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ওষুধ পাচ্ছে না রোগীরা। ওষুধ না পেয়ে প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছে বর্হিবিভাগের অসংখ্য রোগী আর ভর্তিকৃতদের কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে আবহাওয়া জনিত কারণে গ্রামগঞ্জে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য নারী পুরুষ জ্বর-সর্দির ওষুধ নিতে পীরগঞ্জ হাসপাতালে আসছে। কিন্তু জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল টেবলেট সরবরাহ না থাকায় ওষুধ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। রবিবার দুপুরের দিকে হাসপাতালে আগত নারায়নপুর গ্রামের হোসেন আলী, মসলিম উদ্দীন, ময়না বেগম সহ অনেকেই জানায়, তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য হাসপাতালে এসেছিল জ্বরের ঔষধ নিতে। কিন্তু ঔষধ নাই। তাই তাদের লেখে দেওয়া হয়েছে বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনতে। হাসপাতালে ঔষধ নিতে আসা অনেক রোগীর একই কথা জ্বরের ওষুধ নাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্টোর কিপার বকুল জানান, এ উপজেলার জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ প্যারাসিটামল টেবলেট দরকার। কিন্তু সে পরিমান সরবরাহ পাওয়া যায় না। ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের মত পাওয়া যায়। যা দিয়ে বছর চালানোই কঠিন। তার পরও চলতি অর্থ বছরে অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্যারাসিটামল টেবলেট সরবরাহ পাওয়া যায়নি। যা ছিল তা প্রায় ২ মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। এতে করে আমরাও হাসপাতালের বর্হি ও অন্তবিভাগে প্যারাসিটামল টেবলেট সরবরাহ করতে পারছি না। জেলা সিভিল সার্জন অফিসকে বিষয়টি অবহিত করে ওষুধ চাওয়া হয়েছে।
ফার্মসিষ্ট আনোয়ার জানান, প্রতিদিন জ্বর-সর্দি, মাথা ব্যাথার অনেক রোগী আসছে। কিন্তু প্যারাসিটামল টেবলেট সরবরাহ না থাকায় তারা দিতে পারছেন না। তবে বাচ্চাদের প্যারাসিটামল সিরাপ সরবরাহ আছে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ শেখ মোঃ জুবায়ের জানান, সরকারী ভাবে সরবরাহ নাই। তাই ভর্তিকৃত রোগীদেরও তারা হাসপাতাল থেকে প্যারাসিটামল টেবলেট দিতে পারছেন না। যাদের দরকার হচ্ছে। লিখে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে তারা কিনে আনছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আরশাদ হোসেনে বলেন, প্যারা সিটামল টেবলেট নাই। এটা তার জানা নেই। তিনি তাৎক্ষনিক স্টোর কিপার ও ফার্মসিষ্টকে ডেকে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। সত্যতা পেয়ে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।