টি.আই সানি গাজীপুরঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরের ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামে বিয়ের দাবীতে এক যুবকের বাড়িতে এক যুবতীর অনশনের নয় দিন। গত নয় দিন যাবৎ যুবকের বাড়িতে যুবতী অনশন করলে করছে যুবতী জোসনা। অনশনের প্রথম দিন থেকে প্রেমিক যুবক পালিয়ে যায়।
জোসনা বলেন (২৬সেপ্টেম্বর) সন্ধায় আরিফে বাড়িতে অবস্থান করতেছি। আজ নয় দিন। ছেলের পরিবারের লোক জন আমার সাথে খারাপ আচরণ করতেছে।এবং মহিলা দিয়ে মারধরও করে। এবিষয়ে থানা পুলিশ জানানো হলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
গত কাল রাতে পুলিশ দিয়ে আমাকে হুমকী ধামকি দিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে আরিফের পরিবার।
(০১অক্টোবর) সন্ধায় আমার আগের স্বামী শ্যামল ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে আমার কাছে।
এখন আর আমার কিছু করার নেই আরিফের সাথে বিয়ে ছাড়া।
উলেখ্যঃ- যুবতী জোসনা আকতার (৩৫) শৈলাট গ্রামের শ্যামল মিয়ার স্ত্রী, সে দুই সন্তানের জননী। তাঁর সাথে একই এলাকার ফারুক মন্ডলের ছেলে আরিফুল ইসলাম মন্ডল (২০) সাথে গত দেড় বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সূত্রে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
জোসনা বলেন,আরিফ আমার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করার সময় গোপনে মোবাইলে ছবি তুলে। সম্পর্কের কিছু দিন পরেই আরিফ ওই ছবি দেখিয়ে আমাকে হুমকী দেয়। তার কথা মতো না চললে ওই ছবি ফেসবুক বা ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে। ফেসবুক আর ইন্টারনেটের ভয় দেখিয়ে আমার কাছথেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে আরিফ।
অনশনকারী যুবতী ও প্রেমিক যুবকের পরিবারের সূত্র জানায়, অনশনকারী যুবতী গত বুধবার হতে যুবকের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। এসময় যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক দাবী করে তার সাথে বিয়ের দাবী জানায়। তবে প্রেমিক যুবক যুবতীকে বাড়িতে দেখেই গা ঢাকা দেয়। তবে যুবকটির পরিবার যুবতীর পূর্বের সংসারে স্বামী-সন্তান থাকায় এবং উভয়ের বয়সের কথা বিবেচনা করে তাঁরা যুবতীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
তবে, যুবতীর দাবী তাঁর সাথে গত দেড় বছর ধরে আরিফের প্রেমের সম্পর্ক চলছে। আরিফ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তুলেছে। সে আগের ঘরের স্বামী ও দু’কন্যা রেখে প্রেমিক আরিফকে বিয়ের জন্যই ঘর ছেড়েছেন। এখন বিয়ে না করলে তিনি বাড়ি ছাড়বেন না।
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে ছেলের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিয়েছে। সেই লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করেছে। ছেলে আরিফ ও তার বাবাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ছেলের পরিবারকে বলা হয়েছে বিবাহ দেওয়ার জন্য।
মেয়ের পক্ষ তেকে এখন পর্যন্ত কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি।