নিজস্ব প্রতিনিধি,চাঁদপুর জেলা।
গত কাল শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯.৩০ টার সময় চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের দরজার উপরের বেন্টিলেটার ভেঙ্গে ভিতেরে ঢুকে আলমারীর তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে।আলমারীর তালা ভাঙ্গতে না পেরে চোরেরা প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত কম্পিউটারের মনিটর ও স্কুলের লেপট্যাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের নৌশপ্রহরী সম্মুখে পরলে তার ডাক চিৎকারে
চোরেরা অফিস বিল্ডিংয়ের পাশের বিল্ডিং এ ছাদে রেখে, গাছ বেয়ে নিচে নেমে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।
নৌশপ্রহরীর মোঃ আব্দুল কাদের জানায়, তিনি রাত ৯ টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠের চতুর্দিকে ঘুরে দেখেন এবং পরে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান গেইট বন্ধ করে চা পান করার জন্য নিকটতম দোকানে যান সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি গেইটের সামনে অপেক্ষা করেন। তারপর বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে তিনি দেখেন যে অফিস কক্ষের সামনের বাতি নিভানো।সাথে সাথে তার সন্দেহ হয় এবং তার হাতে থাকা টর্চ লাইট মারলে দেখেন যে চার পাঁচ জনে দৌড়ে পালাচ্ছে। তখন তিনি ডাক চিৎকার দিলে, বাজারে থাকা লোক জন ছুটে আসেন। লোকজন চোরদের পিছনে দৌড়তে শুরু করলে,তারা একজনকে ধরতে সক্ষম হয়।
পরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ কে খবর দিলে থানা ইনচার্জ মোঃ মহিন উদ্দিন ও তার র্ফোস ঘটনাস্থলে আসেন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে সাথে নিয়ে অফিস কক্ষের তালা খুলে পরিদর্শন করেন। আটককৃত চোর হলো উক্ত বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারি শিক্ষার্থী মোঃসোবাহান।গ্রাম রাধাসার, পিতার নাম মোঃ বাসার। তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় এই কাজে তার সাথে আর কে কে জড়িত।তখন সে তিন জনের নাম বলেন,তারা হলো মোঃ মিনহাজ, গ্রাম সন্না, পিতার নাম মোঃ আব্দুল হান্নান। মোঃ শান্ত গ্রাম গোগরা পিতার নাম জানা সে জানেনা।মোঃ রবিউল ইসলাম সাগর,গ্রাম দঃ শ্রিপুর পিতার নাম মুখলেছ রহমান।আটককৃত সোবহান বলেন তাদের সাথে আরো অনেকেই ছিল অপরিচিত।তা কাছ থেকে জানতে চাইলে এ কাজ করার কারন কি তখন সে বলে আগামি কাল তাদের গনিত পরীক্ষা। তারা পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁস করার জন্য এই কাজ করেন। সে আরো বলে এবারের নির্বাচনী পরীক্ষা প্রশ্নপত্র নাকি কমন পরে না এবং হল গার্ড কঠিন হওয়াতে তাদের বিগত চারটি পরীক্ষা খারাপ হওয়াতে তারা খুব চিন্তিত হয়ে পরে এবং গনিতে পাশের জন্য এই কাজ করে।পরে আটককৃত চোর সোবাহান কে পুলিশের হাতে সোর্পাদ করা হলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান স্যার জানান তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মামলা করা হবে।