শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

অন্যের মুখে হাসি ফুটলে যার তৃপ্তি ..তিনি রনজিৎ বর্ম্মন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮
  • ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

অন্যের মুখে হাসি ফুটলে যার তৃপ্তি ..
মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
নিজের মাথা গোজার ঠ্াঁই টুকু নেই,নেই কোন নিজেকে নিয়ে চিন্তা তার, কিন্তু অন্যের মুখে হাসি ফুটলে যার তৃপ্তি মেলে। সেই যুবক দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাঁটাবাড়ী গ্রামের নিলকন্ঠ বর্ম্মনের ছেলে রনজিৎ বর্ম্মন (৩৫) বিয়ে সাধিও করে নাই, পেশায় একজন ওর্য়ালিং মিস্ত্রি।
রনজিৎ ছোট বেলায় তার মা জয়ন্তী রানীকে হারিয়েছে,পিতাও অন্যত্র বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছে, এখন নিজের বলতে কেউ নেই,একটি ছোট ভাই সেও মামাদের সাথে থাকে,রনজিতের সংসার বলতে তার এক মাত্র ওয়ার্ডিং এর দোকান। সেখানে রান্না করে, সেখানে ঘুমায়।
দুর্গা পুজায় যখন বৃত্তবানেরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্থ ঠিক সেই সময়,যে ছেলের মাথা গোছার ঠাই নেই, সেই রনজিৎ গরিব অসহায়দের বাড়ীতে গিয়ে তাদের মাঝে আসন্ন দুর্গা পুঁজা উপলক্ষে পুঁজার সামগ্রী (নারিকেল গুড়, মুড়ি, শাড়ি লুঙ্গি ও ধুতী) বিতরন করেছেন তার নিজ উদ্যোগে। গত শনিবার থেকে গতকাল রবিবার পর্যন্ত সে প্রায় ১৫০টি পরিবারকে এই পুঁজার সামগ্রী বিতরন করেছেন।
শুধু পুঁজায় নয়,ঈদেও সে বিভিন্ন গরিব পরিবারদেরকে ঈদ সামগ্রী (সেমাই চিনি ও কাপড়) বিতরন করে থাকেন।
রনজিৎ বলেন, তার নিজের আপন জনেরা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন, এখন নিজের বলতে কেউ নেই তার পাশে,তাই এই গরিব মানুষ গুলোকে তার নিজের আপনজন মনে হয়,এই জন্য তিনি বিভিন্ন উৎসবে এই উপহার দিয়ে থাকেন, এই গরিব মানুষ গুলো তার উপহার পেয়ে খুশি হয়, এতে তার মনে তৃপ্তি মেলে।
প্রায় ২০বছর আগে তার মা জয়ন্তি রানী মারা যাওয়ার পর তার পিতা নিল কন্ঠবর্ম্মন তাদেরকে ছেড়ে নতুন বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন। ছোট ভাইটিকে মামা-খালারা মানুষ করলেও তার খোজ কেই রাখেনি। সেই কিশোর বয়স থেকে সে মিস্ত্রিও কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এখন তার দোকানে অনেক গ্রাহক, ব্যবসাও ভাল চলে, সেই ব্যবসার একটি নিদৃষ্ট আয় থেকে তিনি অসহায় গরিব মানুষের উপকারের জন্য ব্যায় করে থাকেন।
মেহেদী হাসান উজ্জল

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451