মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই, ব্যাস্থ সময় পার করছে কৃষকরা। আগাম জাতের ধান বাজারে চাহিদাও বেশি। ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আগাম জাতের ধান চাষ-আবাদ করে কৃষক একই সাথে দুটো লাভ করছে। আগাম জাতের ধান কেটে ওই জমিতে রবী শষ্য আলু, ভুট্টা ও শরিষা বা আউষ ধান চাষ করতে পারবে। এতে করে একই জমিতে বছরে চারটি ফসল উৎপাদন করতে পারছে।
উপজেলা রাজারাম পুর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, আগাম জাতের এই ধান একর প্রতি ৬২ মন ফলন হচ্ছে। তিনি এই জমির ধান কেটে আলু ও ভুট্টা চাষ করবে। একই কথা বলেন, পুর্ব রাজারামপুর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর ও সুজাপুর গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন।
কৃষক ফারুক হোসেন বলেন,আগাম জাতের এই ধান বাজারে চাহিদা রয়েছে তাই দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে। এই ধানের অর্থ দিয়ে আলুও চাষ করা হচ্ছে, আলু ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে ভুট্টাও চাষ হয়ে যাবে প্রায় একই খরছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ বলেন, এই উপজেলায় এই বছর ১৭ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে, এর মধ্যে ১৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে, এর মধ্যে স্থানীয় জাতের উচ্চ ফলনশীল (উফসী) জাতের ২০০ হেক্টর ও হাই ব্রীট জাতের ১৫০০ হেক্টর। আগাম জাতের এই ধান একর প্রতি ৬৩ থেকে ৬৮ মন ধান ফলন হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, ফলে জনসংখ্যার সাথে সাথে খাদ্যা চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারনে একই জমিতে বছরে চারটি করে ফসল উৎপাদন করতে হবে, এই লক্ষ নিয়ে কৃষকদের বছরে চারটি ফসল উৎপাদ করতে পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।