হেলাল শেখ,ঢাকাঃ
রংপুরের মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের হাজত খানার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোতালেব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল রাতে গ্রেফতার মইনুলকে আজ দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা মহানগর আদালতে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে মইনুলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, রংপুরে দায়ের করা মানহানির এক মামলায় সোমবার রাতে আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করেন ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের পর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকেই তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’ মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি থানায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
উক্ত বিষয়ে দেশের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, কোনো সন্ত্রাসী মাদক কারবারি যদি সাংবাদিকদের দিকে বাঁকা চোখে তাকায় তাহলে তাদের চোখ তুলে নেয়া হবে।
উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য ও অভিমত প্রকাশ করেছেন। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সন্ত্রাসী জঙ্গি বা মাদক কারবারিদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। আর যদি পুলিশ বা সাংবাদিকদের নিয়ে কেউ খারাপ মন্তব্য করে তাদের পরিণতি বেশি খারাপ হবে।
বাংলার প্রতিদিন/হেলাল শেখ