টি.আই সানি গাজীপুর:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বলদীঘাট জেএম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ওই অভিযোগে সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চ ভাংচুর করা হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল হক অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনাটি পরিচালনা পরিষদ সংক্রান্ত বিষয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করেছেন।
ওই বিদ্যালয়ের এক জেএসসি পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষক তাকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল কথাবার্তা বলেছেন। জেএসসির ফরম পূরণের সময় তার কাছে ফরম পূরণের প্রস্তুতির কথা বলে দুই হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে ব্যার্থ হলে ফরম ফুরণের সুযোগ দেয়া হবে না এবং মোবাইল ফোনে কু প্রস্তাব দেয়া হয়। পরে অনেক অনুনয় বিনয় করার পরও ফরম পূরণে সক্ষম হন। এরপর ২৭ অক্টোবর জেএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গেলেও তাকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। এসব বিষয়ে (২৮ অক্টোবর) শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে (২৯ অক্টোবর) বলদীঘাট জেএম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে মিছিল করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবী করে বিক্ষোভ করেন। এবং নবম শ্রেণী কক্ষের বেঞ্চ ভাংচুর করে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এড.আজিজুল হক আজিজ এর সভাপতিত্বে জরুরী সভায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য কবির হোসেন সাংবাদিকবদের বলেন, একটি মহল প্রধান শিক্ষককে ষড়যন্ত্র করে বিদ্যালয় থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস হায়দার বলেন, ওই ছাত্রীর কোনো প্রবেশপত্র বিদ্যালয়ে এসেছে কিনা সেটাই আমরা জানি না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে। একটি মহল পরিচালনা পরিষদ সংক্রান্ত বিষয়ে ষড়যন্ত্র করে আমাকে বিদ্যালয় থেকে সরানোর কৌশল করছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের উষ্কানি দিয়ে ক্লাস বর্জন,পরে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা অফিস কক্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেঞ্চ ভাংচুর করে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি হলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে ঘটনাস্থলে একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত হয়েছে কিন্তু বাদীকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি বা উপস্থিত হয়নি। প্রধান শিক্ষকে ইউএনও’র কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাদীর বক্তব্য না পাওয়ায় এবং তদন্তের স্বার্থে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।