ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতেও শ্রমিক ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারন যাত্রীরা, যাতায়াতের এখন একমাত্র ভরশা ব্যাটারী চালিত ভ্যান-রিক্সা ও অটো রিক্সা। এতেও গুনতে হচ্ছে প্রয়োজনের তুলুনায় দ্বিগুন-তিনগুন বেশি ভাড়া।
এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ী ও কৃষক। ধান-চাউল ও সবজি বহন করতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা। পরিবহন করতে না পারায় ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শীতকালিন সবজি।
গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া সারা দেশের শ্রমিক ধর্মঘটে এই দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। শ্রমিক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার ফুলবাড়ী পৌরশহরের ঢাকামোড়, দিনাজপুর, রংপুর ও পার্বতীপুরগামী বাসষ্টান্ডে গিয়ে দেখা যায় সাধারন যাত্রীদের দুর্ভোগ।
ঢাকামোড় বাসষ্টান্ডে দাড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন, তিনি তার পরিবার নিয়ে রাজশাহী থেকে ট্রেন যোগে ফুলবাড়ীতে এসেছেন, এখান থেকে তিনি দিনাজপুর শহরে যাবেন, কিন্তু বাস নাই, এজন্য তাকে এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে অটো রিক্সায় চেপে দিনাজপুর যেতে হচ্ছে। অথচ বাসসের ভাড়া তিন জনে মাত্র ১৮০ টাকা। একই কথা বলেন, অপর যাত্রী শাহাদৎ আলী, তিনিও টেন যোগে নাটোর থেকে এসেছেন এখান থেকে তাকে যেতে হবে দিনাজপুরে। পার্বতীপুর বাস ষ্টান্ডে দাড়িয়ে থাকা এক সরকারী কর্মকর্তা বলেন তাকে প্রতিদিন ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে চার্জার চালিত রিক্সায় অফিস যেতে হচ্ছে। একই অবস্থা বিরামপুরসহ আশপাশ এলাকার যাত্রীদের।
ফুলবাড়ী বাসষ্টান্ড গুলো ঘুরে দেখা যায় ষ্টান্ডে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে আছে আন্তঃজেলা চলাচলরত যাত্রীবাহীবাস গুলো। সেখান থেকে কোন যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি, এমনকি কোন মাইক্রোবাসও ভাড়া নিয়ে যায়নি।
দিনাজপুর মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক সেকেন্দার আলী দুলাল বলেন, শ্রমিকরা ফাঁশির আইন গলায় ঝুলিয়ে বাস চালাতে চায়না, আইনের ধারা সংশোধন করার দাবীতে শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি তারা পালন করছেন ।
শ্রমিক নেতা মেহেদুল ইসলাম বলেন, এই কর্মসূচি শ্রমিকদের জিবন রক্ষার কর্মসূচি। তিনি আরো বলেন আমি একজন চালক, আমি এই কালো ধারার অব্যহতি চাই, কারন আমি ফাঁশির মঞ্চে উঠতে চাইনা, একই কথা বলেন শ্রমিক নেতা এমদাদুল হক।