নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
ঢাকার সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হাট-বাজারে ও মার্কেটের দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন
অবাধে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার কারণে-একদিকে
সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করায় পরিবেশ
দূষণ হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করছে
এক শ্রেণীর অসাধু লোকজন। এ বিষয়ে প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদাররা বলেন, সংশ্লিষ্ট পুলিশ
প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করছে তারা। অনেকেরই প্রশ্নঃ সরকার নিষিদ্ধ করার পরও
যেখানে-সেখানে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে কিভাবে ? মানুষ বাজার খরচ করার সময় প্রায় ব্যক্তির
হাতেই পলিথিন ব্যাগ দেখা যায়, অনেকেই বলেন, প্রশাসন নিরব ভুমিকায় থাকার কারণে এ যেন
দেখার কেউ নই।
বিশেষ করে বর্তমান সরকার সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার
করার জন্য সকলকে জানিয়েছেন, কিন্তু কথিপয় লোকজন সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে
অবৈধভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। সারা বিশ্ধেসঢ়;¦ পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও
তা বাংলাদেশে সকলের অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে সোনালী আঁশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে
এখন।
বিশেষ করে লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশববাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ
বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করছে, তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে
আনছে। অনেকেই জানান, যে জমিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে ফসল হয়
না।
উক্ত ব্যাপারে ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিক
ব্যবহার করার কারণে রাস্তা ও ড্রেনের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, পরিবেশ দূুষণ করছে। এর সাথে যারা
জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।