বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

লোকে বলত মেয়েদের মতো কেঁদ না, পুরুষ হও : করণ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন দেস্ক.

চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহর বলেছেন, সাবালক হওয়ার পর মানুষ তাঁকে ‘স্বকামী’ বলে ডাকত। লোকে বলত তাঁর কণ্ঠস্বর ‘মেয়েদের মতো’। আরো বলত ‘মেয়েদের মতো কেঁদ না’, ‘পুরুষ হও’সহ নানা কথা। আর এসব কারণে তিনি কণ্ঠস্বরই বদলে ফেলেন।

‘আমি আমার সন্তানকে কখনো বলি না, মেয়েদের মতো কেঁদ না। এটা হাস্যকর। কেউ যদি কাঁদতে চায়, কাঁদবে। আমি কাউকে বলতে পারি না, মেয়েদের মতো হেঁট না বা নেচ না’, বলেন করণ।

‘কফি উইথ করণ’ সঞ্চালক করণ বলেন, ‘ওসব আমাকে বলতেন আমার স্কুলের শিক্ষকরা। তাঁরা সবাই বাক্সবন্দি। একইভাবে চলতে হবে। এসব ব্যাপারে শোনার পর আমি কণ্ঠ থেরাপিস্টের কাছে যাই, কণ্ঠ বদলে ফেলতে চাই।’

গত রোববার ‘উই দ্য ওম্যান’ নামে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন করণ জোহর। সেখানে বিখ্যাত সাংবাদিক বরখা দত্তর সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।

‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ নির্মাতা বলেন, মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁকে কণ্ঠ থেরাপিস্টের কাছে যেতে হয়েছিল, কারণ তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল ‘চিকন’।

“প্রত্যেকেই আমাকে বলত, ‘তোমার কণ্ঠস্বর মেয়েদের মতো।’ লাখোবার এই কথা শুনেছি। থেরাপিস্টকে বলেছিলাম, ‘আপনি কি আমার কণ্ঠ ছেলেদের মতো করে দিতে পারেন?’ এটা কোনো মজা ছিল না। আমি এটা করেছি তিন বছর। ভদ্রলোক আমাকে কণ্ঠস্বরের ব্যায়াম দিয়েছিলেন। এটা ছিল বিব্রতকর ও নির্যাতন”, বলেন করণ।

“বাবাকে বলতাম, আমি টিউশন ক্লাসে গিয়েছি; কারণ বাবাকে বলতে চাইনি আমি ‘পুরুষ হতে’ গিয়েছি”, যোগ করেন তিনি।

করণ জোহর বলেন, তিনি নারী অভিনেতাদের মতো নাচতেন আর সেসব দেখে অন্যরা হাসত। তবে তাঁর মা-বাবা কখনোই ভাবেননি এটা করণের ভুল।

“আট বছর বয়সে ‘সংগ্রাম’ ছবিটি দেখি। ওই ছবির ‘ডাফলি ওয়ালে’ গানে মুগ্ধ হই। এরপর ঘরে আমি এই গানটি বাজাতাম এবং জয়াপ্রদার মতো নাচতে চাইতাম, ঋষি কাপুরের মতো নয়। বাবা আমাকে বলল, তুমি নাচ। আমি জয়াপ্রদার মতোই নেচেছিলাম। বাবার কাছে এটা কখনো অদ্ভুত মনে হয়নি”, বলেন করণ।

বিখ্যাত এ চলচ্চিত্রনির্মাতা বলেন, তিনি স্কুলের খেলায় অংশ নিতেন না। কারণ যখনই তিনি হাঁটতেন বা দৌড়াতেন, বাচ্চারা তাঁর পিছু নিত।

‘অন্যান্য ছেলের চেয়ে একটু আলাদা ছিল আমার হাঁটার ভঙ্গি। আমি মজা করে দৌড়াতাম। কিন্তু এসবের কারণে কোনো খেলায় অংশ নিতাম না। যখনই আমি দৌড়েছি, তখনই সবাই হাসত। যখনই কথা বলতাম, আমার মিহি কণ্ঠস্বর শুনে সবাই হাসত’, বলেন করণ।

‘ভাবতাম, আমার মা-বাবা সত্যিই ঠান্ডা মস্তিষ্কের। বাবা পাঞ্জাবি, এটা তাঁর জন্মগত। কিন্তু তিনি কখনো ভাবতেন না যে, আমি ভিন্ন কিছু করছি বা আমার ভেতর আলাদা কিছু আছে। কিন্তু যখন অন্যরা বলত আমি একটু আলাদা বা আমিই যখন এটা ভাবতাম, এসবে আমার ওপর প্রভাব পড়ত’, বলেন জনপ্রিয় নির্মাতা করণ জোহর।

 

 

সূত্র : ডেকান ক্রনিকল

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451