নিজস্ব প্রতিবেদক-হেলাল শেখ ঃ
ঢাকার কেরানিগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইসহ এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে
ইটভাটা হওয়ায় পরিবেশ হুমকির মুখে। ইট তৈরিতে পরিমাপে কারচুপির অভিযোগও রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয় কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করলেও ইটভাটার
মালিকরা সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করেই আবার অনিয়ম করে ইট তৈরি করছে।
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ইং জানা গেছে, ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়ে প্রায়
৫শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা বেশিরভাগই লাইসেন্সবিহীন, অনেকেরই বৈধ কাগজপত্র
নেই। এসব ইটভাটায় এখন কাঠ পুড়ানোর ধুম পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব
ইটভাটায় কাঠ পুড়ালেও তারা কিছুই করতে পারছেন না বলে স্থানীয়রা জানান। ইটভাটার কয়েকজন
মালিক দাবি করেন যে, তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, তাদের বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে,
গাছপালা মরে যাচ্ছে ইটভাটার কালো ধোঁয়ায়, মানুষের রোগবালাই বাড়ছে। নাম প্রকাশ না
করা শর্তে কয়েকজন বাড়িওয়ালা বলেন, তাদের জমি ও বাড়িসহ ইটভাটার মালিকদের দখলে নিতে
বিভিন্ন কৌশল করছে। তারা বলেন, তাদের সম্বলটুকুও কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ইটভাটার
মালিকরা।
গত ৬ ও ৭ মে ২০১৮ ইং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালক ও যুগ্ন
সচিব সৈয়দ তওহিদুর রহমান এর নেতৃত্বে ধামরাইয়ে ১৬টি ইটভাটাকে ১২লাখ টাকা জরিমানা
করেন। এ অভিযানে সঙ্গে ছিলেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে
বলে তিনি দাবি করেন। ধারাবাহিক পর্ব ১।