ঢাকা: মাত্র কয়েকদিন বাদেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসছে কোরবানির স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট।
এবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মিলিয়ে মোট ২০টি হাট বসছে। এরমধ্যে গাবতলীর স্থায়ী হাটও রয়েছে। ইতোমধ্যে ২ সিটি করপোরেশন পশুর হাটের ইজারা সম্পন্ন করেছে।
এবার উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৮টি ও দক্ষিণে ১১টি ও গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ২০টি হাট বসছে। এছাড়া সীমানা বেড়ে যাওয়ায় আরা ৫টি নতুন হাট বসতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ২২ জুন ডিএনসিসি হাটের ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। ৩ দফা দরপত্র আহ্বানের পর সর্বোচ্চ দরদাতা ব্যক্তিদের হাটের ইজারা দেওয়া হয়।
উত্তরের হাটগুলো হলো, উত্তরা ১১ ও ১৩নং সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ সংলগ্ন খালি জায়গা, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ এর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন পূর্বাচলমুখী তিনশ ফুট সড়কের পাশে বাংলাদেশ পুলিশের হাউজিংয়ের জমি ও সংলগ্ন খালি জমি। তবে পরবর্তীতে ভাষানটেক বেনারশি পল্লী খেলার মাঠ ও সংলগ্ন খালি জায়গায় একটি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএনসিসি।
উত্তরের নতুন হাটগুলো হচ্ছে, বাড্ডা (ইন্দুলিয়া-দাউকান্দি-বাঘাপুর), আশিয়ান সিটি হাউজিং এবং ভাটারা (সাইদনগর) হাট।
ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন পূর্বাচলমুখী তিনশ ফুট সড়কের পাশে বাংলাদেশ পুলিশের হাউজিংয়ের জমি ও সংলগ্ন খালি জমি ছাড়া বাকি হাটগুলো চূড়ান্ত হয়েছে। এবার নতুন ৩টি হাটের ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে উত্তর পাওয়া যাবে।
অপরদিকে, এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বসানো হচ্ছে মোট ১১টি পশুর হাট। ডিএসসিসির ১১টি হাটের বিপরীতে মাত্র ৪১টি আবেদন জমা পড়ে। হাজারীবাগের ঝিগাতলা পশুর হাটের বিপরীতে দরপত্র পড়ে ৩টি, সর্বোচ্চ ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকার দর দিয়েছেন মনিরুল হক বাবু।
রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের বিপরীতে জমা পড়েছে ৩টি দরপত্র ও রহমতগঞ্জ মুসলিম সোসাইটি ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার সর্বোচ্চ দর দিয়েছে। মেরাদিয়া হাটের বিপরীতে দরপত্র জমা পড়েছে ২টি, সর্বোচ্চ দর হাজী মোহাম্মদ শাহ আলম ৫১ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা।
সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩টি, সর্বোচ্চ দর ফরহাদ ভূঁইয়া বাবুর ১ কোটি ৫৫ লাখ ৫ হাজার টাকা।
শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘের মাঠে দরপত্র জমা পড়েছে ৩টি, হাজী আব্দুল লতিফ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন। ধুপখোলা হাটের বিপরীতে ৫টি দরপত্র পড়ে, ৯৩ লাখ টাকার সর্বোচ্চ দর দেন মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন বালুর মাঠের বিপরীতে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম মমিনুল ইসলাম সাঈদ সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা দর দেন।
পোস্তগোলা শশ্মানঘাটে দরপত্র ৪টি জমা পড়লেও সর্বোচ্চ দর দেন আসাদুজ্জামান রুবেল ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কামরাঙ্গীরচর হাটের বিপরীতে ২টি দরপত্র পড়ে ও হাজি মোহাম্মদ হোসেন সরকার সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দর দেন।
যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার হাটের বিপরীতে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে ও মো. আনোয়ার হোসেন ২৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দর দেন। কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত হাটের বিপরীতে ৪টি আবেদনের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকার দর দেন কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ।
এ ব্যাপারে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ ছাড়া বাকি ১১টি হাট চূড়ান্ত হয়েছে। এবার নির্ধারিত হাটের বাইরে কোনো পশু বিক্রি করা যাবে না বলেও জানান তিনি।