মোঃ আব্দুর রহিম, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ও শ্রীমঙ্গলে দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা সেই সাথে ঘন কুয়াশা। গত বছর শীতের তীব্রতা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এ বছরও শীতকাল আসার আগেই তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। এ বছরও শীতের তীব্রতা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশী বাড়ছে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সহ বিভিন্ন উপজেলায় বাড়তে শুরু করছে শীতের তীব্রতা। যতই দিন এগোবে জেঁকে বসবে শীত, এমন আভাস মিলেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস থেকে। এদিকে শ্রীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় একই সাথে জনদুর্ভোগও বাড়তে শুরু কনছে।
চা বাগান অধ্যুষিত এই অঞ্চলে ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে চা বাগানে বসবাসকারী চা শ্রমিকদের ও দরিদ্র মানুষদের। সকালের দিকে গাছের পাতা, লাকড়ি কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে চা বাগান এলাকার চা শ্রমিকরা। তাছাড়া শহরের বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমজীবী মানুষেরা ভোরবেলা তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন বাগান থেকে ঠেলাগাড়িতে করে লেবু ও আনারস নিয়ে শহরে আসেন বিক্রি করার জন্য।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শীত নিবারণের ব্যবস্থা না থাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ার কারনে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বাগানে বসবাসরত শ্রমজীবীদের।
কথা হয় চা শ্রমিক ভজন বাউড়ির সাথে। তিনি বলেন, টাকা-পয়সার অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না বাগানের অসহায় চা বাগানের শ্রমিকরা। শীতবস্ত্রের অভাবে প্রাত্যহিক ভোরে শীতের তীব্রতার জন্য কাজে যেতে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে ঋতু পরিবর্তনের এসময়টাতে শ্রীমঙ্গলে রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। রোগব্যাধিতে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধবয়সী পর্যন্ত সবাই। সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ডের প্রভাবে বেশি দেখা যাচ্ছে। তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণেই এসময়টাতে সর্দি-কাশির পকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে।