অনলাইন ডেস্ক ;
গ্রাহকদের মতামত না নিয়ে মোবাইল ফোনে কলচার্জ বৃদ্ধি, কলড্রপে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিটের বিপরীতে হাইকোর্ট আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেয়া এই রিট আবেদনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি করে মোবাইল গ্রাহকদের অধিকার তত্ত্বাবধায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোটার্স ফোরামের সদস্য এম. বদিউজ্জামান, মেহেদী হাসান ডালিম, মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান ‘জনস্বার্থে’ এই রিট আবেদন করেছেন।
ওই রিটের শুনানির পর মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ আজ দুপুরে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, রিটের বিপরীতে হাইকোর্ট আমাদের কথা শুনেছেন। এ বিষয়ে চারটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে পুনরায় কলরেট ও অন্যান্য চার্জ বাড়ানো না, কলড্রপ হলে ওই কলের টাকা মোবাইল ফোন অপারেটররা কেটে নিতে পারবে না। মোবাইল গ্রাহকদের অনাবশ্যক ক্ষুদে বার্তা পাঠানো যাবে না।
‘হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর পর্যবেক্ষণ করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন।’
টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড, এয়ারটেল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড ও টেলিটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে ২২২ কোটি বার কলড্রপ করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো।