অনলাইন ডেস্কঃ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করার পর তারা এখন বিএনপির ওপর ভর করেছে। তারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে এবং মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার জন্য আবারও ষড়যন্ত্র করছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে মূলত দুটি পক্ষের মধ্যে লড়াই হবে। একটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।
আর অন্যটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী দল-জামায়াতে ইসলামী ও তাদের লালন পালনকারী, বিদেশে অর্থপাচারকারী এবং এতিমদের টাকা লুটপাটের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।আনিসুল হক বলেন, সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তারা (বিএনপি) তিন মাস অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শতাধিক মানুষকে পুড়িয়েছে। শত শত মানুষকে পেট্রোল বোমার আগুনে ঝলছে দিয়েছে।
প্রায় এক হাজার যানবাহন, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস পুড়িয়েছে। দেশের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে।আনিসুল হক দাবি করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তারা ভেবেছিল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল।
বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিল।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে তারা ৭১ সালের মতো পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। এবার তারা আবারও মরণকামড় নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের প্রত্যাখান করতে হবে।ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন কখনও দেশের জন্য কোনো কাজ করেননি বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।আইনমন্ত্রী দাবি করেন, ড. কামাল হোসেন একাত্তরে পাকিস্তানে ছিলেন।
১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, উনি তখন ইংল্যান্ডে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য কোনও কাজ করেননি। আজকে যেটা করছেন সেটাও জনগণের পক্ষে না।অনুষ্ঠানে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।