শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

‘ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার’

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৩২৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক :

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে বিতাড়নের সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করেছেন ড. কামাল হোসেন।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের লিখিত বিবৃতি পড়েন গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের সব বাহিনী ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে উঠেপড়ে লেগেছে। স্বয়ং নির্বাচন কমিশনও এতে যুক্ত। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রার্থীদের ওপর নৃশংস আক্রমণ জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

নীলনকশার নির্বাচনে ভোট কারচুপির সংবাদ যেন গণমাধ্যমে না আসে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, একসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ‘মূতির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ’, সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না, সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন না- এসব পক্ষপাতিত্বেরই আলামত। নির্বাচন কমিশন এমন নীতিমালা জারির মাধ্যমে মূলত মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে গলাটিপে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এসব বিধিনিষেধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করছে যে, কমিশন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীনদের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘নির্বাচনের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানোর জন্য ফোর জির পরিবর্তে টু জি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সংঘটিত নানা রকম ঘটনার সংবাদ মিডিয়ায় দ্রুত আসার ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।’

এই কঠিন সময়ে দেশের জনগণই ঐক্যফ্রন্টের মূল ভরসা উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘এ পরিস্থিতির পরিবর্তন এখন করতে পারে শুধু দেশের জনগণ তথা ভোটারগণ। যারা অতীতে কোনোদিন ভুল করেননি, তারা এবারও ভুল করবে না। সব ভয়-শঙ্কাকে জয় করে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এ দেশের সংগ্রামী মানুষ আগামী ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করবে। আর সেই ভোটযুদ্ধে জয়লাভের মধ্য দিয়ে দেশের মালিকানা জনগণ আবারও ফিরে পাবে। আমাদের স্বাধীনতা হবে অর্থবহ।’

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিকল্পধারার একাংশের মহাসচিব শাহ মো. বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451