অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে জেলায় জেলায় বেপরোয়া গ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে। কিন্তু এত গ্রেপ্তারের পরও বিএনপির মহাসমুদ্র থেকে পানি কমছে না।’
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের ভয় কাটছে না। প্রতিদিন শত শত শত শত শত শত গ্রেপ্তার হচ্ছে, মামলা দিচ্ছে। কিন্তু বিএনপির মহাসমুদ্র থেকে তারা এত গ্রেপ্তারের পরও সেখানকার পানি কমছে না, শূন্য হচ্ছে না। তাই প্রথমে পুলিশ ছিল, এখন র্যাব-বিজিবিকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরও যেন অস্বস্তি কাটছে না সরকারের, আরো গ্রেপ্তার করো।’
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডারদের গুণ্ডামিতে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের প্রার্থীদের মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী ও সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রামে গ্রামে সশস্ত্র মহড়া চলছে,’ বলেন রিজভী।
সারা দেশে ভীতিকর অবস্থা বিদ্যমান উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখেছেন সিইসি। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলায় জেলায় বেপরোয়া গ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে।’
বিএনপি নাশকতা করছে না, বরং আওয়ামী লীগেই নাশকতাকারীদের ট্রেনিং সেন্টার বিদ্যমান অভিযোগ করে এ সরকারকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি আরো বলেন, ‘বানোয়াট মামলা সাজিয়ে নির্বাচনের বছরখানেক আগেই সাজা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। কারণ, রাষ্ট্রশক্তি সম্পূর্ণভাবে শেখ হাসিনার হাতের মুঠোয়। প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আদালত কারো টুঁ শব্দ করার উপায় নেই। টুঁ শব্দ করলে পরিণতি কী হবে, তারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।’
চলতি বছরের ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির ১০ হাজার ৩২৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮৪৪টি গায়েবি ও মিথ্যা মামলা এবং দুই হাজার ৮৯৬টি হামলা চালানো হয়েছে, যাতে মোট আহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ২৫২ ও মৃতের সংখ্যা নয়জন। কেবল গতকালই বিভিন্ন জেলায় ৩৮টি বানোয়াট মামলা দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার করা হয় এক হাজার ১২৭ জন নেতাকর্মীকে। এ ছাড়া একজন খুনের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন রিজভী।