অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাটিংয়ে ওপেন করতে নেমে চরম হতাশ করেছেন। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক মাশরাফির বলে ‘গোল্ডেন ডাক’ পেয়ে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে গেছেন। বোলিংয়ে নিজের করা চার ওভারে ২৬ রান দিলেও উইকেট পাননি একটিও। আর দলের মাত্র ১৩৫ রানের পুঁজির দিনে ‘ফেক ফিল্ডিং’ করে জরিমানা হিসেবে প্রতিপক্ষকে উপহার দিয়েছেন পাঁচ রান। কিন্তু এত সব ব্যর্থতা সত্ত্বেও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচে ঠাণ্ডা মাথায় দারুণ হিসেবী অধিনায়কত্ব করে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন মিরাজ। পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজারও প্রশংসা।
একটু খোলাসা করে বলা যাক। দলের মূল স্পিনার আরাফাত সানি গতকাল মাত্র ১২ রান দিয়েছেন দুই ওভার বল করে। কিন্তু উইকেটে বাঁহাতি রাইলি রুশো থাকায় সানিকে দিয়ে আর বল করাননি মিরাজ। অন্যদিকে ডানহাতি অভিজ্ঞ স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজকে দিয়ে করিয়েছেন পুরো চারটি ওভার। বাঁহাতি রুশোর জন্য লেগস্পিন হয়ে যাওয়ায় হাফিজের অফস্পিনে একের পর এক ডট বল প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। অন্যপ্রান্তে সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন আর রবি বোপারা চাপ কমাতে গিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় আউট হয়ে গেছেন এই স্পিনারের বলেই। আবার শুরুতেই মাশরাফি আর গেইলের উইকেট দুটি নিলেও মোহাম্মদ মিথুন আর রাইলি রুশোর পেস ভালো খেলার সামর্থ্যের কথা চিন্তা করে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে দুটি ওভারের বেশি আর বল দেননি।
এমন কার্যকর সব কৌশল অবলম্বন করে হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচটাকে নিজেদের দিকে টেনে আনেন মিরাজ। শেষ চার ওভারে গুনে গুনে হাফিজ, উদানার জন্য একটি করে আর কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের জন্য দুটি ওভার রেখে দেন তিনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারে ১০ রানের পুঁজি দিয়ে বল তুলে দেন ফিজ’কে। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে অসাধারণ পাঁচটি ডেলিভারি করেন ফিজ। শেষ বল থেকে ছয় রান নিলে সুপার ওভারে গড়াত ম্যাচ। এ সময় সৌম্য, মিরাজের পাশাপাশি অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ মিলে নানারকম পরামর্শ দেন ফিজকে। কিন্তু মুস্তাফিজকে কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো বল করতে বলেন অধিনায়কসুলভ দৃঢ়তায়। অধিনায়কের টোটকায় দুর্দান্ত এক বল করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ‘দ্য ফিজ।’
ম্যাচের পর রাজশাহী কিংস অধিনায়কের প্রশংসা করেছেন মাশরাফি। তাঁকে সবসময় বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ কান্ডারি বলেন ম্যাশ। সামান্য পুঁজি নিয়ে কুশলী অধিনায়কত্বে দারুণ জয় এনে দিয়ে সে কথার কিছুটা প্রমাণ রাখতে সমর্থ্য হলেন মিরাজ।