২০১৬ সনের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই
সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের
বিচারের দাবি জানিয়ে সাভার উপজেলা ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ইউনিটির
অফিসে ১৫ ই মার্চ ২০১৯ তারিখ, শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছে সাভার
উপজেলা হেযবুত তওহীদ। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন হেযবুত তওহীদের সাভার
উপজেরা সভাপতি হাসিবুর রহমান শাওন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের
জবাব দেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলী
হোসেন। এছাড়াও আরো হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন,
হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব আলম,
হেযবুত তওহীদের সাভার উপজেলার সাধারন সম্পাদক ইউনুচ মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ধর্মব্যবসায়ীরা হেযবুত তওহীদকে হামলার লক্ষ্যবস্তু
বানিয়েছে তার কারণ হেযবুত তওহীদ এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদসহ
ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন-সম্পদ
উৎসর্গ করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের এই সত্য
তুলে ধরার রুন ধর্মব্যবসায়ীরে মুখোশ খুলে যাচ্ছে, জনসাধারণের উপর
থেকে তাদের প্রভাব হারিয়ে যাচ্ছে।
মূল বক্তব্যে বলা হয়, তিন বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় াঙ্গা
সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তারে
ছাত্রদেরকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে।
ধর্মব্যবসায়ীরা প্রোপাগান্ডা চালায় যে, ‘হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা
গির্জা নির্মাণ করছে’। তারা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের
মাইকে বলতে থাকে যে, ‘গির্জা ভাঙ্গো খ্রিস্টান মারো।’ তাদের
উসকানিতে স্থানীয় জামায়াত, শিবির, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের
সন্ত্রাসীরাসহ মাদ্রাসার উন্মত্ত ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন
মসজিদটিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। উপস্থিত হেযবুত তওহীদের প্রত্যেকে
মারাত্মকভাবে আহত করে। সন্ত্রাসীরা মো. সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহীম
রুবেল নামে হেযবুত তওহীদের ুজন সস্যকে জবাই করে, চোখ উপড়ে, হাত
পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। এক পর্যায়ে পেট্রল ঢেলে লাশের
গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। যখন পুলিশ আহত অবরুদ্ধ মরণাপন্ন হেযবুত
তওহীদের কর্মীদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলে
তখন তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ও
বিডিআর বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে থাকে।
হেযবুত তওহীদের অভিযোগ, এই ঘটনায় তারা আক্রান্ত হলেও আক্রমণকারীদের
সাথে তাদেরকেও মামলার আসামি করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের মধ্যে
অনেকেই প্রকাশ্যে াপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারে বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট
থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। এই সন্ত্রাসীরা আবারও হামলার
হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ী হত্যাকা-ের
সাথে জড়িত সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করা
হয়। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও
পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়।