বয়স প্রায় ৩৬ ছুঁইছুঁই, দাঁড়িয়ে আছেন ক্যারিয়ারের একেবারে প্রান্তসীমায়। তবুও কেন তাঁকে দেশসেরা পেসার বলা হয়, সেটা আবার দেখিয়ে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের চেনা ছন্দে জ্বলে উঠলে মাশরাফি এখনও কতটা ভয়ংকর হতে পারেন, সেটা আজ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে ম্যাশের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ২৯ রানের জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে ৪৬ রান দিয়ে ছয় উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মাশরাফি।
বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৮৬ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ধানমন্ডির দলটি। দলের ব্যাটিং হিরো ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ঠিক আগের ম্যাচটাতেই অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন জহুরুল। তবে আজ আর ভুল করেননি এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। আবাহনীর হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ১৩৮ বলে ১৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ১৩০ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সঙ্গে অধিনায়ক মোসাদ্দেকের ৭৬ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় আবাহনী।
রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা খায় গাজী গ্রুপ। শূন্য রানে মাশরাফির বলে সানজামুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রনি তালুকদার। কিছুক্ষণ পর আরেক ওপেনার মাইশুকুর রহমানকেও ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। এরপর গাজীর হয়ে প্রায় একাই লড়াই করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ১১৮ বলে ১৫টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ১২৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মাশরাফির বলে আউট হন ইমরুল। দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শামসুর রহমান শুভ ৩০ ও তৌহিদ তারেক ৩৯ রান করে চেষ্টা করলেও, গাজীর জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিলনা।
টপঅর্ডারের তিন উইকেট তুলে নেওয়ার পর শেষদিকে দুর্দান্ত স্পেলে আরো তিনটি উইকেট ঝুলিতে ভরেন মাশরাফি। ২৯ রান দূরে থাকতে ৪৮.৪ ওভারে ২৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইমরুলের দল।