বনানীর এফ আর টাওয়ারে অবস্থিত বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দুইজন করে প্রতিনিধি নিয়ে ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশের এসআই ও এএসআই পদমর্যাদার ২২ জন কর্মকর্তা ভবনের ২২টি ফ্লোরে এসব প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে নিয়ে যান।শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের নেতৃত্বে ২২টি টিম ভবনটিতে প্রবেশ করে।শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ। তারপর পু্লিশের কাছে ভবন হস্তান্তর করা হয়। এরপর ভবনে থাকা অফিসগুলোর মালিক বা প্রতিনিধিদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। মূলত অফিসের অক্ষত মালামাল মালিকদের বুঝিয়ে দিতে তাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।পুলিশ সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে থাকা অফিসগুলোতে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা গিয়ে নিজ নিজ অফিসের অবস্থা দেখে আসবেন। এছাড়া অফিসে যদি মূল্যবান জিনিসপত্র ও টাকা পয়সা থাকে তা সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। ভবনটিতে সর্বমোট ২৯টি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে।এ ব্যাপারে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আগুনে পোড়া ভবনটির ভেতরে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের দুজন করে প্রতিনিধি নেয়া হয়েছে। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের মালামালের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করবেন। তবে আপাতত কাউকে কোনও মালামাল নিতে দেয়া হবে না।এর আগে শুক্রবার সকালে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, তাদের কাজ শেষ ডিক্লেয়ার করে পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেবেন। তখন পুলিশ, পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশন-আমরা পুরো বিল্ডিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে নেব। মালিক আসবেন। ফ্লোরওয়াইজ কোন অফিসের কে মালিক, কোন ফ্লোরে কে ছিল ইতোমধ্যে আমরা তালিকা করেছি। প্রতিটা ফ্লোরের জন্য একটা করে টিম করেছি। সে হিসেবে ২২টি টিম করা হয়েছে। একজন যেন আরেকজনের অফিসে ঢুকতে না পারে, কোনও ধরনের যেন কিছু মিসিং না হয়, কোনও ক্ষতি না হয়।এসময় তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আইনের যথাযথ ধারায় মামলা করা হবে। বিল্ডিংয়ের নির্মাণ থেকে শুরু করে সবকিছু ঠিক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখে মামলা করা হবে।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২৩তলা বনানীর এফ আর টাওয়ারের নয়তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করে। রাত ১১টা ১০ মিনিটে ঘোষণা দেয়া হয় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭৩ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।