স্পোর্টস ডেস্কঃ
চরম বিতর্কে শেষ হলো ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে মোহামেডান আর ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ। আজ মঙ্গলবার সাভারের বিকেএসপি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে মোহামেডান। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট ভেজা থাকায় খেলার অযোগ্য অভিহিত করে ব্যাটিং করতেই নামেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর নির্ধারিত সময়ের পরেও প্রায় ১০-১২ মিনিট পর্যন্ত মাঠে অপেক্ষা করেন দুই আম্পায়ার। এরপরেও ব্রাদার্স দল মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানালে ‘রিফিউজড টু প্লে’ নিয়মের আওতায় মোহামেডানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
সমস্যাটা শুরু হয় মোহামেডানের ইনিংস শেষ হওয়ার পর। এর আগে টস হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা মোহামেডান ভারতীয় ওপেনার অভিষেক মিত্রর ৬৮, ইরফান শুক্কুরের ৯২ ও রকিবুল হাসানের ৩৫ বলে দ্রুতগতির ৫০ রানের উপর ভর করে তিন শতাধিক স্কোর পায়। শেষদিকে সোহাগ গাজীর ২৫ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ব্রাদার্সের সামনে ৩১৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দেয় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এরপর মোহামেডানের ইনিংস শেষ হতেই তুমুল বৃষ্টি নামে।
বেশ কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমে গেলেও মাঠে পানি জমে যায়। এরপর মাঠ খেলার উপযুক্ত করে তোলার প্রচেষ্টায় নষ্ট হয় দীর্ঘ সময়। ম্যাচের দুই আম্পায়ার মাসুদুর রহমান ও গাজী সোহেল বেলা ৩টা ৪৯ মিনিটে মাঠ পরিদর্শন শেষে বিকেল ৪ টা ৬ মিনিটে ম্যাচ শুরু করার কথা জানান। এ সময় ম্যাচের সময় কমিয়ে ফেলা হয়। জয়ের জন্য ২০ ওভারে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সামনে নতুন করে ১৭৪ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু বৃষ্টিভেজা কন্ডিশন ও ওভার কেটে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণের অজুহাতে ম্যাচ খেলতে অনীহা প্রকাশ করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আগামীকাল বুধবার রিজার্ভ ডে তে নতুন করে পুরো ইনিংস খেলার দাবী জানায় গোপীবাগের ক্লাবটি। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের নিয়মের মধ্যে না থাকায় ব্রাদার্সের দাবি মানতে পারেননি ম্যাচ রেফারি। শেষ পর্যন্ত তারা খেলতে অনীহা জানানোর কারণে মোহামেডানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
ম্যাচ খেলা না খেলার তুমুল বিতর্কের মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা উইকেট দেখতে গিয়েছি। গিয়ে দেখেছি উইকেট খেলার মতো অবস্থায় ছিল না। একেবারেই ব্যাটিং করার অযোগ্য ছিল।’
বিকেএসপির কিউরেটর নুরুজ্জামান নয়ন ও ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ উইকেট কিছুটা ভেজা থাকার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে পুরোপুরি খেলার অনুপযোগী ছিল না জানিয়ে ম্যাচ রেফারি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পিচের এক কোণায় কিছুটা পানি জমে ছিল এবং জায়গাটা নরম ছিল। তবে সেটা পিচের এমন জায়গা যেখানে বল পিচ করে খুব কম। সচরাচর কোনো ফিল্ডারও সেখানে দাঁড়ায় না। তাই আমাদের কাছে মনে হয়নি খেলা অসম্ভব।’