অনলাইন ডেস্কঃ
অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন এক নারী।
আসামিদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্য হলেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) আ স ম মাহমুদুল হাসান ও লাইজু।
বাকি আট আসামি হলেন মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশি।
মামলার এজাহারে অপহরণ ও গণধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগের বর্ণনায় ওসি ও দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং গণধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই। তাদের বিরুদ্ধে মামলা না নিতে চাওয়ায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ভিকটিম দুই সন্তানের মা ও তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় অভাবের কারণে কাজের সন্ধান করছিলেন। পূর্বপরিচিত শফিকুল গত ১২ মার্চ চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁকে করাতিটোলায় ফারজানা ও বিলকিসের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানে তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে স্বপন তাঁকে ধর্ষণ করেন।
বাদী চিৎকার দিলে ফারজানা ও বিলকিস তাঁর গলায় বটি ঠেকিয়ে মেরে ফেলার এবং ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে জীবন, বিপ্লব, হানিফ, সাগর ও আলাউদ্দিনসহ আরো ১০-১২ জন ইয়াবা সেবন করে বাদীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় বাদী যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর এসআই লাইজু বাদীকে প্রস্তাব দেন যে এক লাখ টাকা ঘুষ দিলে ধর্ষণের মামলা হবে। না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে।
পরে ঘুষের টাকা না দিতে পারায় গত ১৮ মার্চ বাদীকে যৌনকর্মী সাজিয়ে ফারজানা ও বিলকিসসহ আদালতে পাঠান ওসি ওয়াজেদ, এসআই মাহমুদুল হাসান ও লাইজু। এতে ধর্ষণের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। যার বিচার চেয়ে বাদী ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি করেন।-সুত্র,এনটিভি