অনলাইন ডেস্কঃ
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় আটক চারজনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে আটক সাতজনকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে সাতদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় সোনাগাজী থানা পুলিশ। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরফ উদ্দিন চারজনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এঁরা হচ্ছেন আলাউদ্দিন, কেফায়েত উল্লা, নুর হোসেন ও শহীদুল ইসলাম। বাকিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খোন্দকার গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নুসরাত এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসা মানিকের মেয়ে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন দেয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। বর্তমানে নুসরাতকে সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজউদ্দৌলা গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহানের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নুসরাত বিষয়টি বাসায় জানালে তাঁদের মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় সিরাজউদ্দৌলার লোকজন। কিন্তু নুসরাত অপারগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় আলিম পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে ভাই নোমান নুসরাতকে পরীক্ষার হলে বসিয়ে দিয়ে আসতেন। গত শনিবারও তিনি তাই করেন। একটু পরেই মাদ্রাসার তিনতলার ছাদে বোরকাপরা চারজন নুসরাতের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।