চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রুহুল আমীন (৪৮) নামে ১৬ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে। নিহত রুহুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার উকতো গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, রাত ২টার দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার উকতো গ্রামে বাঁশ বাগানে অভিযানে যায় সদর থানা পুলিশেল একটি টহল দল। সেখানে ৮-৯ জনকে মাথায় করে বস্তাভর্তি মাদক বহন করতে দেখে পুলিশ। এসময় তাদের চ্যালেঞ্জ করা হলে তারা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে মাদকব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী রুহুল আমীন বলে সনাক্ত করেন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি ধারালো হাসুয়া ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে আহত হয়েছেন উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য।