ফেনী: ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে একহাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে ফেনীর সবচেয়ে বড় উৎসব ‘ফানুসিয়ানা’ শুরুর আগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের শোক প্রকাশে কালো ব্যাচ ধারণ করেন উৎসবে আগত কয়েক হাজার মানুষ। উৎসবের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হয় প্রতিবাদী মশাল।
ফানুসিয়ানা উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সাংবাদিক বখতেয়ার ইসলাম মুন্না বলেন, ‘ফানুসিয়ানা’ ফেনীর সবচেয়ে বড় উৎসব। ফেনীর হাজার হাজার মানুষ ফানুস উড়িয়ে এ উৎসব উদযাপন করেন। এর মাধ্যমে সম্প্রীতির অনন্য এক বন্ধন তৈরি হয়। এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ফানুসিয়ানা’ উৎসব।
তিনি বলেন, নুসরাত জাহান রাফির খুনের প্রতিবাদে এবারের উৎসবটি আমরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু করেছি। কালো ব্যাচ ধারণ করে হাজারো মানুষ এক সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। আমরা চাই এখান থেকেই উঠুক বড় প্রতিবাদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজন চৌধুরী, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়মীলীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকমসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
এ সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১০ এপ্রিল রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।