শরীফ হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় বাংলার নতুন বছরের ১৪২৬ এর নতুন সকালকে বরণ করে নেয় বৈশাখী র্্যালি মধ্য দিয়ে। সকাল ৯.১৫ মিনিটে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিংকমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান এর যৌথ নেতৃত্বে ম্যানিজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা, শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দ ও বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহনে স্কুল প্রাঙ্গন থেকে র্্যালি শুরু হয়ে বাকিলা বাজার কয়েক বার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
তারপরে শুরু হয় বৈশাখী সাংকৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাও মোঃ মজিবুর রহমান ও মোঃ দিদারুল আলম স্যারের সঞ্চালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বাবু রনজিৎ রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অসীম চন্দ্র দাস( আইন কমকর্তা,) মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রনালয়,।
বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন মজুমদার, (শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ,) জনাব এম,এ নাফের শাহ্ (সাবেক চেয়ারম্যান,) জনাব মিজানুর রহমান মিলন,(সাবেক চেয়ারম্যান), জনাব অহিদুল্লাহ পাটোয়ারী সভাপতি (শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়), বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোঃ মুজিবুর রহমান স্যার সহ আরও অনেকে।
নতুন বছরের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৈশাখের নানা গান পরিবেশন করেন। পরে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক বিশাল বৈশাখী মেলা বসে। বাংঙ্গালির ঐতিহ্যবাহী এই বৈশাখী মেলার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি, বিদ্যালয়ে সভাপতি সহ বিশেষ অতিথিরা।সারাদিন ব্যাপী এই মেলা চলে, মেলায় দোকানীরা নানা ধরনের শিল্প পন্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য নিয়ে বসেন, শিক্ষার্থীরা ছাড়াও মেলা ছিলো সকল শ্রেনীর ধর্ম বর্ণ নিবিশেষে সকলের জন্য মুক্ত।
মেলায় অসংখ্য লোকের সমগম গঠে, দশর্নাথীরা মেলা থেকে তাদের পছন্দের মত প্রয়োজনীয় পন্যদ্রব্য ক্রয় করেন। মেলায় দোকানিদের সাথে কথা বললে তারা জানায় – বাকিলা ইউনিয়নে এমন করে কোন বৈশাখী মেলা বসে না। এই মেলার কারনে এক মিলন -মেলায় পরিনত হয়েছে। তাই বৈশাখের আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে সবার ঘরে ঘরে।তাদের বেচা- কেনা কেমন হইছে জানতে চাইলে তারা বলে বেচা- কেনা অনেক ভালো হইছে, তাদের আশানুরুপের থেকেও বেশী বেচা-কেনা হইছে।এমন ধরনের মেলা যে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় বলে তারা জানান। সারা দিন ব্যাপী চলতে থাকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনীর শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহনে বৈশাখী গান, নৃত্য, কবিতাআবৃতি সহ মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।