অনলাইন ডেস্কঃ
নৌযান শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, নৌযানে যথাযথ নিরাপত্তা ও অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করাসহ ১১দফা দাবীতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে চাঁদপুর নৌ-বন্দরে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার রাত বারোটা থেকে সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ যাত্রী ও বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকরা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি মালিক ও শ্রমিকরা। ফলে এই ধর্মঘট আজ রাত এবং আগামীকাল পর্যন্ত চলার ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিকরা। এই ধর্মঘটে খুলনা আভ্যন্তরীণ নৌবন্দর ও মংলা বন্দর থেকে খুলনাঞ্চলের ১৮টি রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছে।বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের চাঁদপুর আঞ্চলিক সেক্রেটারি মাস্টার মো. রৌশন আলী আরটিভি অনলাইনকে জানান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ এগারো দফা দাবিতে সারাদেশব্যপী চলছে শ্রমিকদের কর্মবিরতি। সোমবার রাত ১২টা থেকে এই কর্মবিরতি চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ দাবী না মানা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে।
এদিকে, নৌযান শ্রমিক কর্মবিরতির কারণে চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা রুটে কোনও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। বিশেষ করে চাঁদপুর ও পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, নোয়াখালীসহ বেশকিছু জেলার মানুষ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে, চাঁদপুর-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে লঞ্চে যাতায়াত করে।
এক মহিলা যাত্রী জানান, ধর্মঘটের বিষয়টি আগে জানানো দরকার। হঠাৎ করে এভাবে ধর্মঘট করলে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।