অনলাইন ডেক্সঃ
যেকোনো ধরনের দুর্যোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগের পাশাপাশি যেকোনো দুর্যোগ এলে কী করতে হবে আর কী করতে হবে না, সে সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের প্রস্তুতি প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শুধু দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য নয়, বরং অগ্নি দুর্ঘটনার মতো মানুষের সৃষ্ট যেকোনো দুর্যোগ প্রতিরোধে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ আসলে করণীয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা দরকার। এজন্য নির্দেশনাগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করা দরকার।’
এজন্য জাতীয় পর্যায়ে পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুর্যোগ প্রস্তুতি সম্পর্কে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে এবং করণীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে।’
বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী অগ্নিনির্বাপক কর্মীসহ আগুনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে সতর্ক করা দরকার, যাতে মানুষের সৃষ্ট দুর্ঘটনা না ঘটে।’
বিদ্যুৎ, গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের সময় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
জনগণকে নিজের কর্মস্থল ও বাড়িতে নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক এবং যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আধুনিকায়ন আমাদের আরাম দেয়, সুবিধা দেয়। আবার দুর্ঘটনার ঝুঁকিও সৃষ্টি করে। ঝুঁকি কমাতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
১৬ কোটি মানুষ বসবাস করা বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও আমাদের দেশ দুর্যোগপ্রবণ।’
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা স্মরণ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৎকালীন সরকার দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতন ছিল না, যার জন্য হাজার হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে মারা যায়।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সফলভাবে মোকাবিলা করেছে এবং ১৯৯৮ সালের বন্যায় উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করেছে।