অনলাইন ডেক্সঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় আয়েশা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের নয়ন কুমার রবিদাস, সোনাপট্টি গ্রামের প্রশান্ত রবিদাস (২২) ও চাকপাড়া গ্রামের নিতাই চন্দ্র রবিদাস, সুভাষ দাস (৪২) ও প্রশান্ত রবিদাস (২৪)। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি নয়ন কুমার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস (২২) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা বর্তমানে পলাতক।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ২০১৫ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড় এলাকার একটি ডোবা থেকে আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আয়েশা উপজেলার কালীনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে। প্রথমে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা পাওয়া যায়।
পরে ওই ঘটনায় ১৫ আগস্ট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আকতার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার রহমান ১৪ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ১৩ জুন আয়েশাকে ডেকে নিয়ে সহযোগীদের সঙ্গে যৌথভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
পিপি আঞ্জুমান বলেন, ‘আজকের এই মোকদ্দমায় আসামি নয়ন কর্মকার মুসলমান পরিচয় দিয়ে ভিকটিম আয়েশা খাতুনকে প্রেমের অভিনয় করে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অন্যান্য আসামিরা মিলে মোট পাঁচজন আয়েশাকে ধর্ষণ করে। গণধর্ষণ করে (হত্যার পর) মেলার মোড় নামক স্থানে লাশ গোপন করে।’
১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে আজ আদালত ওই মামলার রায় প্রদান করলেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত এ মামলায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেন। এ রায়ে সরকারপক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান পিপি।